এসেছে ফাগুন মাস,
কেউ বলে পলাশের
কেউ বলে শিমুলের
কেউ বা কৃষ্ণচূড়ার।
আর আমি বলি পাগলা হাওয়ার।
এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি
অক্লান্ত ডাল পালা ছড়ানো
ছাতিম গাছটার নীচে।
সময় টা খুব বেশী দিন আগের নয়।
ঠিক এখানটাতেই দাঁড়াতাম
সারা শহর ঘুরে এসে
সারা দিনের কাজের শেষে।
ঠিক এখানটাতেই
আর ঠিক এই মাসটাতেই সে যেন তীব্র থেকে
তীব্রতর হয়।
রাতের গভীরতার সাথে পাল্লা দিয়ে
বয়ে যায় উচ্ছল আনন্দে
মাতাল বাতাস।
কিন্তু তুই নাম দিলি পাগলা হাওয়া।
আর বললি,
ওকে বয়ে যেতে দে না একবার মৃত শরীরে,
দেখবি ঠিক প্রান পাবে কঙ্কাল ও।
আমি খুব বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম তোর কথাটা।
কবর খানার পাশ দিয়ে ঐ হাওয়া বয়ে গেলে
একটু কেমন শিউড়েও উঠতাম।
যদি জেগে ওঠে কোন কঙ্কাল!
তুই এতো মিথ্যে কথা কেন বলতি রে কুমু?
তোর মৃত শরীরে কি এই হাওয়া পৌঁছায় না?
কোন দিন ?
কখনো?
মাটির কত নীচে শুয়ে আছিস তুই?