দিদি ,তোমার ভয় করেনা ?
ভয় করবে কেনোরে ?
এইযে যত্ত মরা মানুষ তোমার আশেপাশে
ওরাতো আমার বন্ধু এখন,
বন্ধু?
শুধুই কি বন্ধু ? বড়গুলো কত্ত শাসায় আমায়।
এই করবিনে ,সেই করবিনে।
কি বলছো গো দিদি ? ওদের সঙ্গে কথা বল তুমি ?
কেন নয় ?
বাচ্চাগুলো বড্ড জ্বালায় ,
এই যে কবুতর দেখছিস
ওদের সঙ্গে খেলতে নামে ভোরের আলো ফোটার আগেই।
পাখি ওদের বড় প্রিয়
পাখির মতন উড়তে চায়।
ওই গর্তের ভিতর থেকে উড়াল দিতে চায় ,
তুমি তখন কি বল?
আমি বলি ,ওরে উড়তে চাসনে ,
জীবিত মানুষই উড়বার নাহি পারে
আর তোরা তো মরা
হাত পা বান্ধা।
তখন ওরা কি বলে ?
কি আর বলবে ?
চেঁচামেচি করে আবার গর্তে ঢুকে পড়ে।
ওদের তো ঐটুকুই কাজ।
শোন ,
শিশুগুলো বরাবরই সহজ , সরল
বুড়ো গুলো ও তাই।
বুড়ো হয়ে মরেছে
চাইবার তেমন কিছু নেই
মরার মধ্যে সুখ
আর ঐ বুড়িকে তাড়াতাড়ি পেলে
আরো সুখ , আরো সুখ।
হই হই করে দাঁত কেলিয়ে
হেসে ওঠে কুটকুট
তবে তুমি তো ভালোই আছো দিদি
কত কত গল্প জমা তোমার
ছেলেমেয়ে নেইতো আমার
কবরখানায় থাকি
বেশ কেটে যায় দিনের বেলা
জ্যান্ত মানুষ দেখে ,
রাত টা হলেই হাজার বাতি জ্বলে ওঠে চোখে
দিদি , বললেনা তো
আমার মতন মানুষ গুলো কেমন আছে অন্ধকারে ?
ওদের কথা বলিসনে ভাই
ওরাই বড় চঞ্চল
জীবন থাকতে মরণ খোঁজে
ওরাই বড় টলমল।
তারপর ?
আজ আর নয়।
আরেকদিন আয়।
আজ সন্ধ্যে প্রায় প্রায়
ভূতগুলো সব জাগবে এখন
রাত বেশিদূর নাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন