শুক্রবার, ২৯ মে, ২০১৫

চিত্রা




চিত্রা ,
বড় অদ্ভুতভাবে নিয়ন্ত্রণ কর তুমি আমায় 
নির্বাক আমার কেবলই দেখার পালা ,
তুমি ছুঁয়ে দিলে সকাল হয় 
ছুঁয়ে দিলে রাত 
অথচ আসোনাতো কখনো 
রক্তমাংসের হয়ে !
আমার হও ইথারে ইথারে 
গভীর রাতে অথবা ভোরে। 
চতুর্পাশে কেবল একটাই ছবি 
তোমার  বুকে আমি 
কখনো আমার বুকে তোমার শান্ত পথচলা। 
বড় অদ্ভূতভাবে নিয়ন্ত্রণ কর তুমি আমায়। 
চিত্রা ,
তুমিকি আমারই আঁকা ছবি ?
নাকি প্রত্যহ আমাকেই এঁকে যাও 
এঁকে যাও আমার জীবন 
কখনো যত্নে 
কখনো অবহেলায় ?

তোমায় নিয়ে পণ




তোমায় নিয়ে পণ করবো ?
ছাড়বোনা  ওই হাত ?
কি ছুঁয়ে বলবো বল ?
আঁধার কালো রাত ?
ফুল ছোঁব কি ?
জল ছোঁব?
পাখি নয়তো গাছ ?
মিথ্যে ওসব 
স্বল্প আয়ু 
নেইতো ছুঁয়ে কাজ। 
চোখে তোমার আমার ছায়া 
ওকেই ছুঁয়ে দিই ?
জমবেনা জল ওই চোখেতে 
মৃত্যু অবধি। 


ভালোবাসাটা এমন কেনো





ভালোবাসাটা কেমন যেনো 
ভালোবাসাটা এমন কেনো ?
একসাথে নাই 
তোর সাথে নাই 
আছে তবু ঠাঁই 
চোখের ভিতরটায়। 

ভালোবাসাটা কেমন যেনো 
ভালোবাসাটা এমন কেনো ?
এক বিছানায়
তোর সাথে নাই 
আছে তবু ঠাঁই 
বুকের ভিতরটায়। 

ভালোবাসাটা কেমন যেনো 
ভালোবাসাটা এমন কেনো ?
অভিমানী ছায়ায় ছায়ায় 
জড়িয়ে থাকিস কিসের মায়ায় 
কাছেই আছিস 
তবু কাছে নাই 
খুব ছুঁতে চাই 
তবু  যে হারাই।

ভালোবাসাটা এমন কেনো ?
ভালোবাসাটা কেমন যেনো !

মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০১৫

ভালবাসা










অস্থির তারাটা হঠাত ছুটে এলো পৃথিবীতে
বুঝি বহু পরে জানতে পেরেছে
আকাশ তার জন্যে নয়।
বুঝিবা সবুজ পাহাড়ের কোলে নীলাভ আকাশ দেখে ভেবেছিলো
কাছেইতো ;
গাছ ছিলো কি সে কখনো  ,
একটা কোনো উঁচু ইউকালিপ্টাস ?
বড় যত্নে আকাশ ছুঁতে গিয়ে
তারাদের সাথে বন্ধু হয়ে
প্রেম কিনেছিলো ভালবাসা দিয়ে।
তবু কেনো ছুটে এলো পৃথিবীতে একলা রাতে ?
অদ্ভুত অভিমানে
হঠাত জেনে
আকাশ তার জন্যে নয় ,
আকাশ কখনো তার ছিলোনা।

রবিবার, ২৪ মে, ২০১৫

রুদ্মিলার চিঠি ১২













অদ্ভুত অন্ধকার চারপাশে। অন্ধকার এতোটা  তীব্র হয় আমি দেখিনি আগে। এতটুকু ছিটেফোঁটা আলো নেই যার ওপর নির্ভর করে চোখ খুঁজে পাবে কিছুটা আশ্রয়। বড় বেশি ক্লান্ত হয়ে ওঠে চোখ আলো খুঁজতে খুঁজতে। অন্তত একটা অবয়ব কে দেখার চেষ্টা। আর কিছু নয়। ওই অদ্ভুত আঁধারে বাবা বলে চলেছে তোমার গল্প।তোমায় হারিয়ে ফেলার গল্প। মজার ব্যাপার হলো গল্পটা আমার প্রায় শতবার শোনা হয়ে গেছে। কিন্তু প্রতিবারই একটা জায়গায় এসে আমি আর মনোযোগ রাখতে পারিনা। খুব আশ্চর্য্যজনকভাবে আমি ওই একটা জায়গা থেকেই নিজের মতন করে অন্য আরেকটা গল্প তৈরী করতে থাকি।

গল্পের অর্ধেক টায় চলে আসে তোমায় হাসপাতালে নেয়ার কথা।আমিও বাবার হাত ধরে ঢুকে যাই হাসপাতালে।যে যন্ত্র টাতে বারবার ভেসে উঠছে তোমার একটু একটু করে চলে যাওয়া ,একটা একটা করে শেষ নিঃশ্বাস টা নিয়ে নেবার যে যন্ত্র টা? জানো ?আমি না ওখানে যাই? তারপর চুপটি করে যন্ত্রটা  উল্টে দি।মুহুর্তেই ভেসে ওঠে তোমার মৃদু হাসিমুখ। এইতো ,এইতো তুমি শ্বাস নিচ্ছ। আশ্চর্য্য! ঘড়িটাও পাল্টে যায় খুব সন্তর্পনে। ঘন্টার কাঁটা টা ছিলো ৩ টায়।  রাত ৩টা থেকে সকাল ৯ টা হয়ে গেলোতো।এইতো দেখোনা সকালের তীব্র আলো। ওই আলোতে কখনো যমদূত আসতে পারে?কক্ষনো পারেনা। দেখোনা পর্দাটা সরিয়ে। দেখো আমরা হাত ধরাধরি করে স্কুল যাচ্ছি। এতো দৌঁড়ঝাপ ,তুমিকি চিনতে পারছো মা? কোন শিশুটা তোমার রুদ্মিলা ?কৃষ্ণচুড়ার আর সোনালুর হাট বসেছে আজ পাহাড়ের ওই স্কুল টাতে। তুমি খুলে দাও চুল ছোট্টবেলার মতন। তোমার মনে  আছে মা ,আজ তুমি স্নানের পরে চুলটা শুকনোর সময়টুকুও পাওনি। খুলে দাও চুল,উড়িয়ে দাও হাওয়ায়।তোমার ক্লান্ত মুখটা আমি আরেকবার দেখি।আমায় পিছু ফিরে চাইতে দাও মা। একবার। শুধু একবার তোমার ক্লান্ত মুখটা আমাকে কাঁদাক। আমি অস্থির হই। ছুটে এসে তোমায় কিছু বিশ্রাম দি। তোমায় চুমু খাই।একবার শুধু একবার ফিরিয়ে দাও সময়।

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০১৫

অন্যরকম আলো









অপেক্ষার অবসান হবে ,

কষ্টগুলো খুঁজে পাবে আর কোনো পথ ,
বিষন্ন বিকেল গড়াবে সোনালী সন্ধ্যায় ,
শুধু চলে যাবে জীবনের কিছুটা সময় ,
ভর করে প্রজাপতির ডানায় ,
ফিরবেনা আর ,
ফিরবেনা সেকেন্ড
ফিরবেনা মিনিট
ফিরবেনা ঘন্টা ,
ফিরবেনা  বিষন্ন মুখ
হয়তো অন্যরকম আলোয়
ভুলে যাবো
বড় কষ্টে কেটেছিলো সময়।


বুধবার, ১৩ মে, ২০১৫

চড়ুই




৩ টা চড়ুই
খাচ্ছে বড়ই
দিচ্ছেনাতো ছুট
আরেকটা কি
খাচ্ছে বাদাম ?
কুটকুট কুটকুট ?

শুক্রবার, ১ মে, ২০১৫

ভালবাসি তোমায়








তোমায় নিয়ে পথ চলবার সাহস দাওনি ,
তোমায় ছাড়া পথ হারাবার শক্তি দাও।

সাগর পাড়ে চিত্কার করে বলতে দাওনি ,ভালবাসি
নিশীথ রাতে ঝড়ের সাথে ফিসফিসিয়ে বলতে দাও।

একলা রাতে গাছের সাথে মাখতে দাওনি পাতার গন্ধ
ফুলকুমারীর কাঁঠালচাঁপার সুবাস নাহয় মাখতে দাও।

জারুল বিছানো বেগুনী পথে নাইবা হলে চলার সাথী
লজ্জাবতীর কাঁটার ভাঁজে রক্ত পায়ে চলতে দাও।

আকাশ জুড়ে নাইবা হলো লাল গোলাপী ঘুড়ির ফাঁদ
আমায় তুমি মেঘের সাথে একলা একা ভিজতে দাও।

তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখার চোখ যে গেলো ,চোখ তো নেই
জাগরণে আর স্বপনে চুম্বন নেই, চুম্বন নেই,
এবার নাহয় অন্ধকারেই তোমায় স্পর্শ করতে দাও।