তুই এত্ত সুন্দর কেন রে?
জানি তো। এই সুন্দরের জন্যেই আছিস।
ঠিক যখনই বুড়ো হব
পাখির মতন দিবি উড়াল
খুব যত্নে অন্য চোখে চোখ রাখবি
ভাঙা কোমর আর জড়িয়ে রাখবিনা তুই,
কোঁচকানো চোখ একটুও কি শান্তি দেবে?
ঠিক দেবেনা
জানি আমি।
সাপের মতন আঁকা বাঁকা শরীর এখন
ঠিক যখনই পক্ষাঘাতে পড়বে ঝুঁকে
থাকবি পাশে?
একটুও নয়।
বেশ খুঁজবি মিঠে ঠোঁটের রসের জল।
আমি জানি
সবটা জানি।
প্রেম নয়তো
সবখানেতে শুধুই ছল।
করতে পারিস বেশ বক বক
হাঁসের ছানার মত পঁকপঁক।
তখনও করিস
এখনো কর।
চাঁদ টা কি বল উঠবেনা আর ঐ আকাশে?
দেবেনা কি জোৎস্না ঢেলে ভেসে ভেসে?
আমরা তখন বুড়ো বুড়ি বলবো ঠিকই
একদিন তোর হাত টি ধরে চাঁদ দেখেছি।
রিক্সা চড়ে ভীষণ জ্যামে টগবগে তুই
কোমরখানা সাপের মতন হাত দিয়ে ছুঁই।
তুই কি কেবল করতে পারিস একটি কাজ?
চায়ের কাপে দিতে পারিস ঠোঁটের ভাঁজ?
ডাইবেটিক্স এ ভুগতে হবে দুজনকেই
চিনি ছাড়া চা টা তখন খেতে হবেই
তোর ঠোঁটের জলে ওইদিন বেশ বর্তে যাবে
তেতো চা টা ঠিক তখনও মিষ্টি হবে।
বলবি কিছু?
আর কি বলার আমায় বল?
বকবকানি বন্ধ করে
চায়ের কাপে ঠোঁট দিবি চল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন