সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৬

কুয়াশা বিলাস

উত্তুরে হাওয়ার তোড়ে
সূর্য বিধ্বস্ত ,
লুকিয়েছে চুপিচুপি
মেঘের আড়ালে নয়
নিজেরই আড়ালে যেন।
তির্যক কিরণ তার
পড়ছে চোখের তারায়
মনের ভেতরে খেলে বুঝি
কেবলই হারাই হারাই।
উষ্ণতা জমা নেই
তীব্রতা নেই
প্রিয়ার চিবুকে আজ
বিন্দু বিন্দু ঘাম নেই।
উত্তুরে হাওয়ার তোড়ে
জেনেছে আকাশ
খুব বেশী দূরে নেই
কুয়াশা বিলাস।

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬

জীবনহীন জীবন










বারান্দায় দাঁড়ালেই অট্টালিকা
ঢেকে দিয়েছে আকাশটাকেও
চাঁদ কবে দেখেছি এখানে দাঁড়িয়ে
মনে পড়েনা আর
মাঝে মাঝে চুপি চুপি একটু খানি হাওয়া
লুকোচুরি খেলে চুলে কঠিন আসা যাওয়া
উর্দি পরা প্রহরী গুলো হাঁটাহাঁটি করে রাস্তায়
পীচ ঢালা কালো পথ ঘাস হীন অযত্ন অবহেলায়,
মেঝেতে বিছানো ছোট ছোট গাছগুলো
কখনো কি পেয়েছে দেখা অবারিত সবুজের?
পায়নি।
জীবন এখানে এমন।
মানুষ মানুষের থেকে দূরে,
গাছেরা গাছেদের থেকে দূরে।
হয়তো পাখিরা মিলে মিশে থাকে
হারিয়ে অজানায় উড়ে উড়ে।

অন্য কোথাও, অন্য কোনখানে








অন্য কোথাও
অন্য কোনখানে
দেখা হবে কোনোদিন
স্বপ্ননারীর সনে।
চাঁদহীন এক গভীর কালো রাতে
ফিনফিনে গাউনের মাঝে
অপার্থিব এক রূপবতী নারী
বলেছিল আনমনে,
সবুজ যুবক,
নিশ্চয়ই দেখা হবে
অন্য কোথাও
অন্য কোনখানে।
স্নান শেষে ভেজা চুল শুকোয়নি তখনো
গালের নরম ভাঁজে জলের রেখা ফুরোয়নি তখনো
চোখা ইলিশের মাথার মতন নরম কচি আঙুলে
স্পষ্ট অক্ষরে এসেছে লেখা,
হে সবুজ যুবক
দেখা হবে দেখে নিয়ো
অন্য কোথাও
অন্য কোনখানে।
অনেক দূরের থেকে সুবাস কি পেয়ে গেছে যুবক তাহার?
সদ্য স্নানের শেষে ভেজা জুঁইয়ের সাথে
মিলিয়েছে কি কোনভাবে।
ঘুটঘুটে কালো আকাশে এঁকেছে কি পূর্ণিমার চাঁদ?
নাকি ওই ফিনফিনে গাউনের
ছিপছিপে নারীর ছায়ায়
হারিয়েছে পথ?
বিভ্রান্ত যুবক,
রাত্রি দেখেনি আর
দেখেনি জোছনা বাহার
এক নারী দেখেছে
ছিপছিপে নারী
ফিনফিনে গাউনের ভিতর।

  

রবিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৬

পারলে ঠেকাও








তোমাকে ভালোবাসার অধিকার আমি খোদ ঈশ্বরের কাছ থেকে নিয়ে এসেছি।
পারলে ঠেকাও ।
একটি সামান্য প্রশ্ন কি যথেষ্ট নয় যে তিনি কেন এত অশরীরী সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন তোমায় ?
আমি এই প্রশ্ন টা ঈশ্বর কে করেছি।
আমি জানতে চেয়েছি পৃথিবীর অন্য নারীদের কি দোষ
ওই রুপের ছিটেফোঁটা না পাবার?
ফুলেদের কি দোষ?
পাখিদের কি দোষ?
প্রজাপতির ?আকাশের? চাঁদের ? নক্ষত্রের?
কেনই বা পৃথিবীর সমস্ত রূপ নিয়ে
মানবী হয়ে আসতে হবে তোমার?
ঠিক আমার চোখের কিনারায়?
এত সব প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে
অবশেষে ঈশ্বর হারলেন আমার কাছে।
আমি তোমাকে ভালোবাসার অধিকার স্বয়ং ঈশ্বরের কাছ থেকে নিয়ে এসেছি। 
পারলে ঠেকাও।

মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৬

স্বপ্ন নারী






শিউলি ফোটা ভোর
আলতা পায়ে নূপুর
শিশির ভেজা ঘাসে
নূপুর ফেলে আসে

 
চোখ ফেরালাম যেই
স্বপ্ন নারী নেই
হারিয়ে গেল কোথা
কুয়াশামাখা ব্যাথা।

রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৬

শোলকবলা





নোলক পড়ে অমন শোলকবলা হয়ে চেয়ে থেকোনাতো 

বড্ড অসুবিধে হয়। 
সবচেয়ে বড় অসুবিধেটা হল 
মস্তিষ্ক হৃদয়ের কাছাকাছি চলে আসতে চায়, 
দুজনের ভাব হয়, 
সেই আদান প্রদান এতো বেশী যে 
মন ও মগজ দুটোই তোমায় চাইতে থাকে, 
এভাবে দিন যাপন বেশ কষ্টের বটে। 
মস্তিষ্কের সাথে যুদ্ধ করে বেশ আছি 
ওখানেও তুমি ঢুকে গেলে 
ঐ মানুষটার সংগে আর থাকতে দেবোনা কিন্তু 
ঠিক আসতে হবে আমার বাড়ী।

ভালোবাসা দেবো






সোনার চুড়ি পারবোনা দিতে
কাঁচের চুড়ি দেবো 
ভালোবাসার গন্ধ দিয়ে
স্বপ্ন কথা কব।
একটি নোলক আর কিছু নয়
দিতে পারি বড়জোর,
তোর মুখের আলোর ঝলকানিতে
জেগে থাক ঈশ্বর ।