আমার খুব বড় কোনো দীঘি ছিলোনা ,
ছোট্ট ছোট্ট গুনতে পারা
একটা দুটো ডোবা ছিলো।
কোনোটা বেশ পানায় ঢাকা
কোনোটাতে ডিঙ্গি বাধা।
মাঝেমাঝে পানায় কেমন খুব বেগুনি ফুল ফুটতো
দেখতে পেলেই তুলতে যাবো
প্রাণ চাইতো ,মন চাইতো।
ডিঙ্গিটাতে একটু কেবল বসতে নিতাম
মা বকবে এই ভয়েতে ফিরেই যেতাম।
আমার তেমন ছোট্ট ছোট্ট গাছ ছিলোনা ,
একটা কেবল ছায়ায় ভরা বৃক্ষ ছিলো।
তার ফুলেতে এতই সুবাস ,
শরীর কাঁপায় ,ভীষণ কাঁপায়।
নামটি যে তার বকুল ছিলো।
একলা আকাশ ছিলোনাতো কোনোকালেই ,
বরং একটা মস্ত বড় আকাশ ছিলো।
সেই আকাশে সারা দুপুর উড়তো ঘুড়ি
ঘুড়িগুলো সবার ছিলো।
সবার ছিলো।
খেজুর রসে কে যে প্রথম চুমুক দেবে
কে শুনেছে এই নিয়ে সব ঝগড়াঝাটি ?
কেউ শোনেনি ,কেউ শোনেনি।
বৃষ্টি এলেই ভিজতে হবে
এটুক জানি।
এটুক জানি।
সন্ধ্যে বেলা বাবার অমন রক্তচক্ষু
তারই ভয়ে উথাল পাথাল শান্ত বক্ষ।
সেই ভয়েতেই লেখাপড়ায় সমস্ত ভুল।
তবু কোনো পরীক্ষাতেই হয়নি ভুল।
হাতে গোনা মাত্রকটা রং দেখেছি।
তার মাঝারে অনেক বেশী
সবুজ আর নীল চিনেছি।
অনেক রঙে রঙিন কোনো বাক্স ছিলোনা
কিনতু আমার চতুর্দিকেই রঙিন ছিলো।
কবরখানা পেরিয়ে যেতে একটু কেবল চোখ বুজেছি
এর বেশি কি কোনকালেই ভয় পেয়েছি?
পাইনি জানো ?
আমার একটা বাড়ী ছিলো।
সেই বাড়ীতে তোমার মতন মাত্রকটা লোক ছিলোনা।
সেই বাড়ীটা ছোট্ট বাড়ী ,
মানুষ ছিলো ভুরি ভুরি।
সেই বাড়ীতে একটা ভীষণ ছিলো বুড়ি ।
এত্তগুলো নাতিপুতি
কাকে রেখে বকবে কাকে ?
তাই সে কেবল আদর দিতো।
আদর দিতো ,আদর দিতো।
সেই আদরে কি জানি কি জাদু ছিলো !!!!!
আমরা সবাই এক বিছানায় ঘুমিয়ে যেতাম।
সেই বাড়ীতে আমার ছোট্টবেলা ছিলো।
সেই বাড়ীটা এখন জানো মস্ত বড়।
সেই বাড়ীটা এখন শুধু একলা থাকে।
সেই বাড়ীতে আমার ছোট্টবেলা ছিলো।
সেই বাড়ীটা ভীষনভাবে আমায় ডাকে।
সেই বাড়ীটা আমায় কেবল পিছু ডাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন