শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০১৪

ব্যবচ্ছেদ

আমিও বহুদূর থেকে দেখছি। আর ওরা দূর পাহাড়ের ওপার থেকে দেখছে আর্তনাদ।আর্তনাদ কি দেখার কিছু?সেতো শোনার আর অনুভব করার।কতকিছুই তো দেখি। কতোটা সময় করে দেখি ?মনের জানালা কি সবসময় খুলে দেখি?
আমার শিশুটি আমার বুকেই সুরক্ষিত। পরম নির্ভরতায়।কি এসে যায় আর কারো শিশুর কান্নায় ?ওদের কান্না দেখবার হতে পারে ,দেখে  ভুলে যাবার হতে পারে ,হৃদয়ঙ্গমের হতে পারেকি ?
হৃদয়ঙ্গমের হলেতো কিছু দায়িত্বের বোঝা কাঁধে নিতে হয়। ভাবতে হয়।অপরকে ভাবাবার কাজ নিতে হয়।
আমিতো ভালই আছি।আমি কিছুটা পলায়ন প্রবণ হয়ে জন্মেছি।সকল বিপদে আমি মনে মনে একজন দেবদূতের অপেক্ষায় থাকি। এখনো তাই আছি।
দেবদূত আবির্ভূত হবেন। যাঁর কাছে থাকবেনা হিন্দু,মুসলিম, বৌদ্ধ ,খ্রিস্টান অথবা ইহুদি,ফিলিস্তিন এর চিরকালের বৈষম্য।যিনি ব্যবচ্ছেদ করতে বসবেননা মানবতা।আকাশের মত বিশাল মনের একজন দেবদূত আসবেন।আমাদের বাঁচাবেন।
হায় !আমিতো এখানেও ভুল করলাম। আকাশ সীমাহীন নয়তো। আকাশেরও সীমা আছে।ভুলেও কেও আর আকাশ কে একার ভেবোনা। বড় বিচ্ছিরিভাবে ধংস হয়ে যাবে।
আমরা তবে কার কাছে যাবো ?

ঈশ্বর ,
তুমি নিজেই বলে দাওনা তোমার লুকোনো কোথায় সেই স্বর্গ, যেথায় কোনো সীমা নেই ?তোমার দেবদূতের এখন আকাশ নিয়েও বাধা। তুমি কেবল পরকালের লোভ দেখাও কেন ঈশ্বর ?তুমি আমাদের একটা স্বর্গ ধরনীতে রচনা করে দেখাও।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন