শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬

প্রতীক্ষা



ক্লান্ত মনের খবর জানা
সহজ যদি হতো
খুব না ভেবে আজকে ঠিকই
দেখা হতোই হতো।

মুক্ত হবার ইচ্ছে যদি
বুকের মধ্যে ঘোরে
আর ঢুকোনা খাঁচার ভিতর
উড়াল দিও জোরে।

খাঁচা যখন পড়ে থাকা
তোমায় ছাড়া একা
কষ্ট কেমন বোঝনাতো
এমন করে থাকা।

ইচ্ছে মতন আকাশ ছোঁবে
ইচ্ছে মতন খাঁচা
আর হবেনা এমন জেনো
ফাঁকির ভিতর বাঁচা ।

শীতে তুমি এসোনা

গ্রীষ্মে আসার কথা ছিল
কৃষ্ণচূড়ার পায়ে পায়ে
রোদের ভিতর শীতল ছায়া
জড়িয়ে দিয়ে গায়ে গায়ে।
গ্রীষ্মে তুমি এলেনা।

বললে তুমি বর্ষা আসুক
কদম আমার চাই
কদম বনে পথ হারাবো
চোখ যতদূর যায়।
বর্ষায় তুমি এলেনা।

সাদা কাশের তুলোয় ভোরে
মেঘের ভেলা ভাসে
শিউলি ফুলের গন্ধ বুকে
শরত চলে আসে।
শরতেও তুমি এলেনা।

বললে এবার ধানের সুবাস
প্রানের কথা কবে
পিঠে পুলির উৎসবেতে
দেখা হবেই হবে।
হেমন্তেও এলেনা।

ভাবছো বুঝি আসবে শীতে ?
শীতে এসো না।
বুনো ফুলের দেশে যাবো
আমায় পাবেনা।



ধন্যবাদ ভালোবাসা





ধন্যবাদ ভালোবাসা,
তোমার দেয়া কষ্ট আমায় কবি করেছে।
অসহ্য সুন্দর সব প্রেমময় শব্দের বিন্যাসে
আমি এখন প্রতিদিন সাজাই সাদা ডায়েরিটা।

ধন্যবাদ ভালোবাসা,
তোমার বিরহ আমায় বাধ্য করেছে
নীরবতার স্বাদ নেবার।
এই চঞ্চল, কোলাহলময় পৃথিবীতে
নীরবতার গান শুনতে পারে ক'জন মানুষ?
ধন্যবাদ ভালোবাসা,
তোমার উপেক্ষা আমায় অপেক্ষা শিখিয়েছে
আমি এখন অপেক্ষা করতে জানি
এ জগতে সম্ভবত এর চেয়ে কষ্টের আর কিছু নেই।
ধন্যবাদ ভালোবাসা,
তোমার অনুপস্থিতি আমায় পাগলামি শিখিয়েছে
যে পাগলামির জোয়ারে
আমি ছিনিয়ে আনতে শিখেছি
তোমাকে
আমার ভালোবাসাকে।
ধন্যবাদ ভালোবাসা।
আমি হারবো না
দেখে নিও।

রবিবার, ১৯ জুন, ২০১৬

ভাবনা গুলো ভুল কি ছিল



সংখ্যালঘু শব্দটা ঠিক
তেমন করে বুঝিনা
তোমরা হয়তো অনেক জানো
আমি খুব বেশী জানিনা।
আমার শুধু চোখের তারায়
শৈশবটুকু ভাসে
মাসীমার হাতে চিড়ের মোয়া
পাঁচনের সুবাস আসে।
বিহ্বল হয়ে শুনেছি কোরান
মায়ের মধুর স্বরে
ওদিকে শুনেছি কাঁসার ঘণ্টা
সন্ধ্যে হলেই পরে।
বড়ুয়া স্যার কি সংখ্যালঘু
বুঝতে তো পারছিনা
বরাবরই তাঁকে জেনেছি বিরাট
হিসেব তো মিলছেনা।
বড়দিন এসে একা চলে যাবে
প্রার্থনা করা হয়নি
বন্ধু ডিকেন্স কেক খাওয়াবেনা
এমন ঘটনা ঘটেনি।
সমস্যাটা কি আমার নাকি
অন্য সবারও হচ্ছে
সঙ্খ্যালঘুর অর্থটা এতো
কঠিন কেন মনে হচ্ছে?

বোকা তারাটা








তারাটা অদ্ভুত উজ্জ্বল
বড় তীব্রভাবে জ্বলে
নিজের আলো বলেই হয়তো।
কখনো রূপসী চাঁদ টাকেও
ম্রিয়মান মনে হয়।
একটা নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকে তারাটা,
যেন দিবা রাত্তির দিচ্ছে পাহারা
তারাটাকে মাঝেমাঝে বড় জীবন্ত মনে হয়
এতোটাই যে সূর্যের তীব্র আলো তেও
ওর দেখা মেলে।
আচ্ছা, তারাটা কি বিষণ্ণ পথিক কোন?
কিজানি?
আমার বরাবর ওকে পাহারাদার মনে হয়।
অনেক ভালবাসলে মানুষ যেমন পাহারাদার হয়ে যায়
কেবলই পাহারা দিতে থাকে প্রানের মানুষটিকে ?
অনেকটা সেরকম।
তারাটা পাহারাদার হয়ে গেছে।
চাঁদের জন্য
আকাশের পাগলামি দেখে
চাঁদের জন্যে
তারাদের ছুটোছুটি দেখে
চাঁদের জন্যে
সূর্যের বাড়াবাড়ি দেখে
চাঁদের জন্যে
মেঘেদের বিহ্বলতা দেখে
চাঁদের জন্যে
আমাদের, তোমাদের, কবিদের
অস্থিরতা দেখে।
বোকা তারা
কখনো বোঝেনি
চাঁদের সংগে তার ঐ নির্দিষ্ট দূরত্ব
কোনদিন ফুরবার নয়।
চাঁদ আসলে কারোরই নয়,
বোকা সবাই ভুল ভাবে শুধু,
ভুল ভাবে বোকা তারাটার মত,
বড় ভুল করে অপেক্ষায় থাকে
কোনদিন ঐ নির্দিষ্ট দূরত্ব ঘুচিয়ে
যদি কাছে আসে চাঁদ!
যদি সত্যি আসে
কখনো,
কোনদিন ।

শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬

স্বপ্ন ছিল


কাঠগোলাপের গন্ধে ভরা ভোর
রাতের তারা এই মেনেছে হার
কোনটা নেব হাত বাড়ালাম যেই
আকাশ বলে সন্ধ্যে তবে কার?

বারান্দাতে বকুল ঝরা প্রেম
বৃষ্টি এসে স্পর্শ দিয়ে যায়
খোঁপার কাটা খুলতে গিয়ে দেখি
মিথ্যে ওসব স্বপ্ন ছিল হায় ।

 

শুক্রবার, ৩ জুন, ২০১৬

সংসার







পহেলা জুন একটি রোদেলা সকাল থেকে
তেসরা জুনের সোনালী বিকেল পর্যন্ত
ঠিক যত ঘণ্টা, মিনিট আর সেকেন্ড হতে পারে
ততোটা সময় দেখিনি তোকে।

কারণ আমাদের অভিমান হয়েছে,
রাগ হয়েছে, ক্ষোভ হয়েছে।
কিন্তু গণ্ডমূর্খ ,
ভালোবাসা যেটা হয়েছে সেটা কি টের পাচ্ছিস?
ঠোঁট কাঁপছে সেই থেকে
একটা চুমুতে হবেনা,
বুকের ভিতর এক গহ্বর  ফাঁকা
তোর হাজার রাতের জড়িয়ে ধরাতেও
ভরবেনা,
চোখের ভিতর এক সমুদ্র জল
কত জীবন কাঁদলে হবে বল?
এক জীবনে হবেনা তো
ফুরাবেনা ঐ জল।
বরং একটা ওষুধ দিবি চল ।
দুনিয়াদারী সবটা ছেড়ে
পালাবি এই বুকে
রাগ অভিমান করবো নাতো
রাখবো চোখে চোখে।
মায়ার ভিতর বানিয়ে দেবো
চড়ুই এর সংসার
ঘণ্টা, মিনিট , সেকেন্ড যাবে
বুঝবি না তো আর। 

ভালোবাসার অন্য পিঠে



তোকে ছাড়া থাকাটা খুব মুশকিল হচ্ছে।
আচ্ছা, মিস করাটা কি এমন নাকি?
যত্তগুলো কলিংবেল বাজে
সব কটাতে দৌড়ে দৌড়ে দরজা খুলতে যাওয়া,
মিস করলে কি খিধে কম লাগে?
টেবিল ভরা মজার খাবার
মনে হচ্ছে সব সাপ, কেঁচো আর ব্যাঙ রান্না করা,
আচ্ছা মিস করলে কি এতো সুন্দর মেঘলা আকাশ টাকেও
টেনে ছিঁড়ে ফেলতে মন চায়?
মনে হয় কি সূর্যটাকে কান টেনে আকাশে ওঠাই?
আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা
বেলী ফুলের গন্ধটাকেও
বিচ্ছিরি ডাস্টবিনের মতন লাগছে কেন?
এগুলো কি মিস করা অসুখ?
মিষ্টি সুরের দারুন গান টাকে
কেন বাসের বিকট হর্নের মতন লাগছে?
অসুখটার কি অদ্ভুত সব উপসর্গ ,
হাজার শব্দ বুকের ভিতর
অথচ কারোর কাছে বলতে ইচ্ছে করেনা।
আশ্চর্য তো!
কেমন অসুখ মিস করাটা ?
কেমন জ্বালা বলতো?
তোকে ছাড়া জীবন আমার
বেশ তো ভালো চলতো ।
ভালোবাসার অন্য পিঠে
মিস করা কি থাকে?
তুই ছাড়া এই জীবন টাকে
তেতো স্বাদের লাগে?
ভাবছি তোকে কক্ষনো আর
দেবো নাতো ছেড়ে।
মিসের থেকে মিসেস এবার
নিবিই বল করে?

স্বপ্ন নিয়ে








স্বপ্ন গুলো কেমন যেন

একটু রঙিন সাদা কালো
চোখ জুড়িয়ে দেখতে গেলেই
হারায় কোথা এলোমেলো।

কল্পনাতে ফানুশ মেলে
হাত বাড়ালাম যেই
চোখটি মেলে অবাক দেখি
কোথাও তুমি নেই।

ভাবছি বসে ভাববোনা আর
এবার তবে যাবো
আলোয় ভরা স্বপ্ন গুলো
বললে আবার ভাবো ।

বিচ্ছুরনে স্বপ্নেরা সব 
হারায় গিয়ে কোথা
আবার ভাবি স্বপ্ন নিয়ে
আবার কুড়াই ব্যাথা।