প্রিয় রূপচাঁদা,
উর্দ্ধারোহনের উপলব্ধিতে আমি পৌঁছে গেলাম আজ।
পৃথিবী থেকে যখন আমার পদযুগল শুন্যে উঠে যাচ্ছিলো তখন আমার প্রিয়বন্ধুরা অর্থাৎ মৌমাছিকূল ভাবছিলো আমি বুঝি মধুর সন্ধানে যাচ্ছি!
ওরা আমার পিছু নিলো।
পিপিলিকারা ভাবছিলো মর্ত্যের আগুনে আমার আর চলছেনা,
অতএব সূর্যের আত্মাতে আত্মাহুতি দিতে চলেছি আমি,
ওরা আমার পিছু নিল;
বৃক্ষরা ভাবছিলো উর্দ্ধাগমনের ফলে সমগ্র আকাশ আমার দখলে চলে যাবে;বটবৃক্ষগুলো তাই মাটি থেকে নিজেদের শেকড়চ্যুত করে ডালপালা সমেত আমার পথ আড়াল করতে চাইলো;
বৃহৎ প্রতিভারা ভাবলো আমি যদি ঈশ্বরের থেকে দু’য়েকটা কালিদাস বধ করা বর পেয়ে যাই; যদি আমি উজ্জল দুপুরে প্রসব করি সন্ধ্যাকাব্য নামক কোন রাজপুত্তুরের; প্রতিভারা আমার জামাকাপড় টেনে খুলে ফেললো;
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যে কিনা স্বাধীনতার পয়গম্বর,আমার উর্ধারহণ দেখে ভেবে নিলো আমি বুঝি হতে যাচ্ছি রাষ্ট্রকে তুচ্ছ করা পৃথিবীর প্রথম নিজের অধীন নাগরিক;
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার চক্রাবৃত্তের উর্ধারহণ দেখে ভেবে নিলো যেন আমিই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হ’তে যাচ্ছি এই ব্রহ্মাণ্ডের;
সকলের ধারনাকৃত লক্ষ্যবস্তু অতিক্রম করে আমি যে কেবল তোমার বর্ধিত নখের নেইলপলিশ হ’তে চেয়েছি অনুমান দ্বারা কেহই সেসব বুঝতে পারেনি!
আমার লক্ষ্যবস্তু যে আমার সামনে বসে শব্দব্রহ্মপাঠ করছে,
আমি তার কাছে গেলেই যে সকল জায়গায় যাওয়া হয় আমার ।-প্রাণীকূলের এই বিষয় অনুধাবনে পৃথিবীর মতো প্রদক্ষিণ করতে হবে তোমার ক্রিয়াকলাপ।
জীবজগতের অগোচরে তুমি যে ব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্র হয়ে উঠছো এ সংবাদ আজ আমারই গর্ভে জন্ম নিলো কেবল।
কতিপয় বর্ণমালা ব্যাতিত সবার কাছেই এযে অধরা সংবাদ।
প্রিয় মাছ ,
কোনো শিল্পের সমূখে তুমি দাঁড়িয়না স্থির।
আমি উন্মাদ হয়ে যাবো।
ইতি তোমার পাখি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন