প্রিয় রূপচাঁদা
অন্ধ হবার আগের গল্প,নগ্ন হবার পূর্বের সম্ভাবনা ।
রাধা’র শরীর জ্বলছেনা,চিতায় উঠানোর পরেও তার বুক থেকে নি:স্বরণ হচ্ছে বরফের সুবাতাস।নীত আগুনের কাছে এসে কৃষ্ণের বিনীত প্রশ্ন, কেন এই স্ব >অর্থ> পরতায় পষ্ণভূত একত্রিত! আগুনের সেকি গুণ প্রভু,স্বয়ং তাপ আর তীক্ষ্ণতার আধার হিসাবে আপনি কৃষ্ণবর্ণা,কলেবর থেকে উচ্চারিত ধ্বনি এই রাধা।ধারাকে উল্টে দিয়ে যিনি ফিরিয়ে নেন সকল চিৎশক্তির বিকিরণ। উৎসে ফিরে গেলে আলো, আমি অন্ধ হয়ে যাই।
দৃষ্টির বন্দনা তবে শুরু হোক এবার ।
সৃষ্টি থেকে হারিয়ে গিয়েছে স্রষ্টার সফেদ কবুতর। চিহ্নহীন গতি নিয়ে সর্পিল আলোয় এঁকে দিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির মানচিত্র। অরুপ ও রূপের বাইরে যদি কোন মানবমানবী দাঁড়ায়,তারা খুঁজে পাবে সেই পখ,পাথেও উভয় ঋতু।স্রাবে ও শ্রবণের টানে জেগে ওঠা সামুদ্রিক চর।
কে আছে ঐখানে! দিগন্ত না দিকশূন্য সবুজ শষ্যের পাহাড়! তার ওই পাশে কুম্ভকর্ণের ফিসফিস।কাগজী পত্রের থেকে, বৃক্ষ থেকে ফলিত বর্ণমালা।তোমার আঙ্গুলের নিচে চেপে রাখা খবরের ইতিকথা।
কি আছে এইখানে?
দৃশ্যত যা কিছু উড়ন্ত ছিলো বেলুনের মতো, ত্রিশঙ্কুর মতো বোধ ঝুলছিলো বেহাল চৌরাস্তায়,গন্তব্যের বিপরীতে হেঁটে আসা নীল প্রজাপতিই অবশেষে প্রজাহীন রাত্রি যাপনের ইতিহাস গড়ে।
উভয় চক্রের বিপরীতে ছিলো একটা উপত্যকা;
যার অতল দিয়ে ধাবমান মহুয়ার রসায়ন;
মাতালের ঐতিহ্য,আর উলঙ্গ রাত্রির ছাদে হেঁটে বেড়ানো কয়েকটি গোল্ডফিস।
মাছগুলো দালির ক্যানভাসে মেটামরফসিস। উড়ন্ত বালিহাঁস। হঠাৎ আচমকা বাকসদৃশ তুলির জবান:
‘আসো, পান করি,ঘনিষ্ঠ স্বপ্নের থেকে বেছে নেই অমৃত জল। সারাবান তাহুরা। বুকের ভেতর থেকে চিরন্তনী ওম;
নখ থেকে নীল বিষ টেনে নিয়ে পান করে নীলকন্ঠ তোমার মানচিত্রহীন পথের দিকে দেবে উড়াল;
সেই মাছ স্রোতের বিপরীতে গতির বিপরীতে আচমকা ঢুকে গেল জালবিস্তৃত কূপে;
আমি সেই আতিথিয়েতার জন্যে দাঁড়িয়ে আছি বিনীত। আমাকে গ্রহণ করো আর নিজস্ব গৃহে রাখা যতনের প্রসাদটুকু দিয়ে আপ্যায়িত ,,,’
এরপর আর মাছটাকে দেখা যায়নি মিঠাপানির সংসারে;
কেবল শীতের আকাশে একটা হলুদ পাখির ডাক শোনা যায় !
ইতি
তোমার পাখি
অন্ধ হবার আগের গল্প,নগ্ন হবার পূর্বের সম্ভাবনা ।
রাধা’র শরীর জ্বলছেনা,চিতায় উঠানোর পরেও তার বুক থেকে নি:স্বরণ হচ্ছে বরফের সুবাতাস।নীত আগুনের কাছে এসে কৃষ্ণের বিনীত প্রশ্ন, কেন এই স্ব >অর্থ> পরতায় পষ্ণভূত একত্রিত! আগুনের সেকি গুণ প্রভু,স্বয়ং তাপ আর তীক্ষ্ণতার আধার হিসাবে আপনি কৃষ্ণবর্ণা,কলেবর থেকে উচ্চারিত ধ্বনি এই রাধা।ধারাকে উল্টে দিয়ে যিনি ফিরিয়ে নেন সকল চিৎশক্তির বিকিরণ। উৎসে ফিরে গেলে আলো, আমি অন্ধ হয়ে যাই।
দৃষ্টির বন্দনা তবে শুরু হোক এবার ।
সৃষ্টি থেকে হারিয়ে গিয়েছে স্রষ্টার সফেদ কবুতর। চিহ্নহীন গতি নিয়ে সর্পিল আলোয় এঁকে দিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির মানচিত্র। অরুপ ও রূপের বাইরে যদি কোন মানবমানবী দাঁড়ায়,তারা খুঁজে পাবে সেই পখ,পাথেও উভয় ঋতু।স্রাবে ও শ্রবণের টানে জেগে ওঠা সামুদ্রিক চর।
কে আছে ঐখানে! দিগন্ত না দিকশূন্য সবুজ শষ্যের পাহাড়! তার ওই পাশে কুম্ভকর্ণের ফিসফিস।কাগজী পত্রের থেকে, বৃক্ষ থেকে ফলিত বর্ণমালা।তোমার আঙ্গুলের নিচে চেপে রাখা খবরের ইতিকথা।
কি আছে এইখানে?
দৃশ্যত যা কিছু উড়ন্ত ছিলো বেলুনের মতো, ত্রিশঙ্কুর মতো বোধ ঝুলছিলো বেহাল চৌরাস্তায়,গন্তব্যের বিপরীতে হেঁটে আসা নীল প্রজাপতিই অবশেষে প্রজাহীন রাত্রি যাপনের ইতিহাস গড়ে।
উভয় চক্রের বিপরীতে ছিলো একটা উপত্যকা;
যার অতল দিয়ে ধাবমান মহুয়ার রসায়ন;
মাতালের ঐতিহ্য,আর উলঙ্গ রাত্রির ছাদে হেঁটে বেড়ানো কয়েকটি গোল্ডফিস।
মাছগুলো দালির ক্যানভাসে মেটামরফসিস। উড়ন্ত বালিহাঁস। হঠাৎ আচমকা বাকসদৃশ তুলির জবান:
‘আসো, পান করি,ঘনিষ্ঠ স্বপ্নের থেকে বেছে নেই অমৃত জল। সারাবান তাহুরা। বুকের ভেতর থেকে চিরন্তনী ওম;
নখ থেকে নীল বিষ টেনে নিয়ে পান করে নীলকন্ঠ তোমার মানচিত্রহীন পথের দিকে দেবে উড়াল;
সেই মাছ স্রোতের বিপরীতে গতির বিপরীতে আচমকা ঢুকে গেল জালবিস্তৃত কূপে;
আমি সেই আতিথিয়েতার জন্যে দাঁড়িয়ে আছি বিনীত। আমাকে গ্রহণ করো আর নিজস্ব গৃহে রাখা যতনের প্রসাদটুকু দিয়ে আপ্যায়িত ,,,’
এরপর আর মাছটাকে দেখা যায়নি মিঠাপানির সংসারে;
কেবল শীতের আকাশে একটা হলুদ পাখির ডাক শোনা যায় !
ইতি
তোমার পাখি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন