প্রিয় রূপচাঁদা
একটা বৃহৎ গোলকের ভেতর মনোভূমি নৃত্য করে বেড়াচ্ছে। পৃথিবীর মানচিত্রের ওপর আলতো পদচ্ছাপে সৃষ্টি হওয়া সামুদ্রিক গতিপ্রকৃতি যেন হঠাত করেই আবিস্কৃত স্রোতের শীতল প্রবাহমানতা । আশ্চর্য্ ঐ অধরের মাঝ দিয়ে ধাবমান রেখার সংলাপ যেন ক্রমশ সমান্তরাল রেখা থেকে তীরের মতো বেঁকে গিয়ে পৃথিবীকে আরো বেশি নিকটতম করে তুলছে। ভেবে দেখো সম্মুখস্থ এই সংযোজন ক্রমশ: পশ্চাতের বিয়োজনের মধ্যে দিয়ে যে মানচিত্র দাঁড়াবে একদিন ,তখন ফিরে আসা ডাহুকগুলো নিজেদের আবাসস্থল খুঁজে পাবে না, মাটির তলদেশ থেকে জেগে ওঠা উঁইপোকা খুঁজে পাবে না আকাশ । ল্যুভ মিউজিয়ামের পেইন্টিংগুলোর রেখা মুছে গিয়ে সাদা ক্যানভাস ঝুলবে অনর্থক।
ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে কেবল একটিই রেখা দ্বিতীয়ার চাঁদের মতো জ্বলজ্বল করবে,সে তোমার হাস্যজ্জল প্রতিবিম্ব ছাড়া আর কিছু নয়।
ওই গালের টোলের ভেতর,ওই বৃহৎ গোলকের ভেতর আমি হারাতে চাই।
ইতি
তোমার পাখি