সৌরবিজ্ঞানের
হিসাব মতে পৃথিবীর বুকে সূর্যের উপস্থিতি কয়েক লক্ষ বছরের হয়তো। কিন্তু
সেই সূর্য প্রায় চার পাঁচ বছর ধরে পৃথিবীর বুকে আলো পৌঁছতে পারছে না। এই
যে বাধাটা কোথা থেকে ঠিক আসলো সেটা সূর্যেরও জানা নেই। তো আজ সেই সূর্য তার
সমস্ত শক্তি খরচ করে পৃখিবীর বুকে তার আলো স্থায়ি করার বাসনা নিয়ে অনেকটা
আক্রমনাত্মকভাবেই মহাকাশমণ্ডলের পথ অতিক্রম করে পৃথিবীর পথের ভেতর প্রায়
প্রবেশ করবে ঠিক এমন সময় সৌরদেবের আলো যে বাধার মুখোমুখি হলো সে আমার হলুদ
পাখির ডানার। সূর্য যতোই আলোর প্রভু হোক না কেন পাখির ডানায় জড়ানো রোদ্দুর
আর হলুদিয়ার শক্তিশালী তরঙ্গবিস্তারের মুখোমুখি দাড়াতে সক্ষম হলো না।
পৃথিবী আজ অতীব উজ্জল ছিলো।জ্ঞানী আর অজ্ঞানীর ভেতরকার দ্বন্দ্ব,মাঠ আর
গুহার আভ্যন্তরীন সংকট কীভাবে মুছে গেলো সে কথা হয়তো ভাববার সময় নেই
ঘাসফড়িংয়ের।কিন্তু আমি জানি ঐ পৃথিবী উজ্জল করা আলোকময়তা সূর্যের ছিলো
না,ছিলো কেবল আমার সেই হলুদিয়া পাখির নিরব বসে থাকা পালকের নিপুঁন বুনটের।
কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কাছে এই খবর পৌঁছানোর পূর্বেই প্রেমিকের কাছে
বিশ্রাম নিয়েছে এই বার্তা।
আমি তো কেবল আলোই পেলাম প্রিয় হলুদিয়া
উষ্ণতা দেবে কে আমাকে!
আমি তো কেবল আলোই পেলাম প্রিয় হলুদিয়া
উষ্ণতা দেবে কে আমাকে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন