মানুষ সাধারণত তখনই কষ্ট পায় যখন তার ভালো কাজটা কারোর কাছে নোংরা ভাবে সমালোচিত হয়।সমালোচনা সবাই করতে জানেনা। এবং সেই মানুষগুলোর সমালোচনা কখনই শুনতে নেই যারা তোমার কাজটির উপযুক্ত নয়। অথবা যারা তোমার মেধা বা মননের সাথে একাত্ম হবার ক্ষমতা রাখেনা।তবুও মানুষ কষ্ট পেয়ে বসে। অনেক সময়
কত রকম সিদ্ধান্ত যে নিয়ে ফেলে মুহুর্তের ভিতর।আসলে এইসব মানুষ গুলোকে শাস্তি দেবার একটা অসাধারণ উপায় হলো নির্বিকার থাকা।চেহারায় নির্বিকার ভাবটা আনতে পারা সহজ কাজ নয়।অনেক দিনের সাধনার ব্যাপার। তোমার নির্বিকার চেহারা ওই মানুষটাকে নির্বাক করে দিতে বাধ্য। অথবা আরেকটা মজার উপায় আছে। যে তোমাকে কষ্ট দিলো তুমি তার প্রশংসা করবে। দারুন ভাবে। ওকে কেবল অবাক করবে। ও যা নয় ওকে ততটা উচ্চে রেখে কথা বলবে। কাজটা কষ্টের কিন্তু কি যে মজার।ওই লোকটার ওই অবাক চেহারাটা দেখতে পারাটা তখন মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান দৃশ্য।
আসলে আত্মবিশ্বাস হলো সবচেয়ে বড় ব্যাপার।মনে কর তুমি একজন গৃহিনী। এর বাইরে তুমি কোনো কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারছোনা তোমার পরিবারের কারণে,পরিবার কে সময় দিতে গিয়ে। তোমার সম্পূর্ণ শক্ত ভিতের ওপর অন্য সবাই দাঁড়িয়ে আছে। তোমার হয়তো একটা কবিতা পড়ারও সময় নেই। নেই গান শোনার সময় পর্যন্ত। আবার এই ভীষণ কর্মব্যাস্ততার কোনো আর্থিক মূল্যায়ন তুমি পাচ্ছোনা।পাচ্ছোনা পর্যাপ্ত সম্মান।তোমার অনেক কষ্ট হচ্ছে।অনেক।
অথবা তুমি কর্মজীবী। যেখানে কাজ করছো সেখানেও মানুষের কুত্সিত রূপ।তোমার মন্দ কাজের সমালোচনা আসছে খুব দ্রুত।কিন্তু তোমার ভালো কাজের প্রশংসা আসছে মৃদু। প্রতিনিয়ত মানসিক যুদ্ধ। জানি এই যুদ্ধে বেশির ভাগ সময়েই পরাজিত হয় আমাদের সুন্দর হৃদয়। কর্ণকুহর নোংরা হয়ে ওঠে মানুষের নোংরা সমালোচনায়।
এখানে আরো মজার ব্যাপার আছে। কর্পোরেট গৃহিনী রা আবার নিজেদের অনেক সময় বিশাল সম্মানিত মনে করে বসেন।ওখানেও জীবনের অদ্ভুত একটা খেলা আছে। এই খেলা গুলো এত নোংরা। আচ্ছা?মানুষের আয়ু কত? মানুষ যদি জানতো। আহা মানুষ যদি সত্যিই জানতো।
আমার শুধু মনে হয় আত্মবিশ্বাস অর্জন ছাড়া এই নোংরামি থেকে মুক্তি সম্ভব নয়। আত্মবিশ্বাস সমৃধ্ধ কোনো কাজের মাঝেই কোনো লজ্জা নেই।
সমালোচক দের কেবল একটা মিষ্টি মধুর নির্বিকার দৃষ্টি উপহার দাও। তুমি ভালো থাকবে।
This is so True. Very Nice...
উত্তরমুছুন