মানুষ দেখতে ভালো লাগে। তার পেছনেও যথারীতি একখানা স্বার্থ আছে। মানুষ নিয়ে লিখবো বলে মানুষ দেখি।সবচেয়ে বেশি দেখি নিজেকে।আমার প্রতি মুহুর্তে মনে হয় নিজেকে না দেখা এবং না চেনা একটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।প্রতিদিন অন্তত একবার নিজের সাথে কথা বলা উচিত নয়তো তুমি জানবেইনা কত সুন্দর এক জাদুকর তোমার জীবন থেকে হারিয়ে গেলো।
আমার ছেলেটা ঘুমচ্ছিলো।ও ঘুমোলে আমি ওকে খুব দেখি।হঠাত করে মনে হলো আমিকি কখনো আমার ছেলে বা মেয়েকে ফেলে অনেক দুরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারবো ?মানে বেড়াতে ?ধরো ,কোথাও একটা বিদেশে যাবো। আমরা ঘরের চারজনার বেশ একটা খরচ বেরিয়ে যাবে তাতে। কিন্তু আমি একা গেলে বেশ ঘুরে নিতে পারবো মনের মতো করে।তারপর নাহয় ওদের জন্যে কিছু সুন্দর উপহার নিয়ে এলাম। হয়েই গেলো। কিন্তু আমরা কোনো মানুষ এটা পারিনা বাবা মা হয়ে যাবার পর। একজন বাবা বা মা তার সন্তান কে ছাড়া ভালো কিছু খাওয়ার কথাও ভাবতে পারেনা। কি অদ্ভুত বন্ধন। কি অপূর্ব মায়া। সন্তান গুলিও তাতেই অভ্যস্ত।
কিন্তু আরো অদ্ভুত ব্যাপার হলো ,আমি যখন আমার বাবাকে বা মা কে আমার সাথে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিতে যাই তখন অনেক হিসেব কষি।এমনকি তাঁদের অসুখেও হিসেব কষি। যদি ঘরে তিনটে ভাই বোন থাকিতো সবাই মিলে হিসেব কষি। উনারা তখন আমাদের অঙ্ক খাতায় জায়গা করে নেন।
তার চেয়েও আশ্চর্যের ঘটনা হলো,আমার বাবা বা মা তাতে চরম কৃতজ্ঞতায় ভুগতে শুরু করেন। তাঁদের অসুখের চিকিত্সা অথবা তাঁদের বেড়াতে নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়ার পর তাঁদের চেহারার অবস্থা দেখার মতন হয়। তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন শেষ হয়না। অস্থির হয়ে যান।খুশি দমিয়ে রাখা তাঁদের জন্যে কঠিন হয়ে পড়ে। তাঁরা মুহুর্তে ভুলে যান তাঁরা কোনদিন আমাদের ফেলে কোথাও বেড়াতে যাননি।হয়তো আমাদের মানুষ করতে গিয়ে বেড়ানো ব্যাপার টাই ভুলে গেছেন। জীবন থেকে হয়তো চলে গেছে অসাধারণ কিছু সময়। আর সন্তানের অসুস্থতার কথা বাদ ই দিলাম।
সম্পর্কের এই হিসেব গুলো সত্যি মেলাতে পারিনা।মানুষ হিসেবে তাই প্রতিদিন একবার নিজেকে দেখি অন্য কে দেখার আগে। নিজেকে না দেখলে ,নিজের সাথে কথা না বললে ,প্রতি মুহুর্তেই মনে হয় প্রতিটি সেকেন্ড এ আমি একটা করে জাদু দেখা থেকে বঞ্চিত হলাম। মানুষ সত্যি বড় অদ্ভুত প্রাণী।
আমার ছেলেটা ঘুমচ্ছিলো।ও ঘুমোলে আমি ওকে খুব দেখি।হঠাত করে মনে হলো আমিকি কখনো আমার ছেলে বা মেয়েকে ফেলে অনেক দুরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারবো ?মানে বেড়াতে ?ধরো ,কোথাও একটা বিদেশে যাবো। আমরা ঘরের চারজনার বেশ একটা খরচ বেরিয়ে যাবে তাতে। কিন্তু আমি একা গেলে বেশ ঘুরে নিতে পারবো মনের মতো করে।তারপর নাহয় ওদের জন্যে কিছু সুন্দর উপহার নিয়ে এলাম। হয়েই গেলো। কিন্তু আমরা কোনো মানুষ এটা পারিনা বাবা মা হয়ে যাবার পর। একজন বাবা বা মা তার সন্তান কে ছাড়া ভালো কিছু খাওয়ার কথাও ভাবতে পারেনা। কি অদ্ভুত বন্ধন। কি অপূর্ব মায়া। সন্তান গুলিও তাতেই অভ্যস্ত।
কিন্তু আরো অদ্ভুত ব্যাপার হলো ,আমি যখন আমার বাবাকে বা মা কে আমার সাথে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিতে যাই তখন অনেক হিসেব কষি।এমনকি তাঁদের অসুখেও হিসেব কষি। যদি ঘরে তিনটে ভাই বোন থাকিতো সবাই মিলে হিসেব কষি। উনারা তখন আমাদের অঙ্ক খাতায় জায়গা করে নেন।
তার চেয়েও আশ্চর্যের ঘটনা হলো,আমার বাবা বা মা তাতে চরম কৃতজ্ঞতায় ভুগতে শুরু করেন। তাঁদের অসুখের চিকিত্সা অথবা তাঁদের বেড়াতে নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়ার পর তাঁদের চেহারার অবস্থা দেখার মতন হয়। তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন শেষ হয়না। অস্থির হয়ে যান।খুশি দমিয়ে রাখা তাঁদের জন্যে কঠিন হয়ে পড়ে। তাঁরা মুহুর্তে ভুলে যান তাঁরা কোনদিন আমাদের ফেলে কোথাও বেড়াতে যাননি।হয়তো আমাদের মানুষ করতে গিয়ে বেড়ানো ব্যাপার টাই ভুলে গেছেন। জীবন থেকে হয়তো চলে গেছে অসাধারণ কিছু সময়। আর সন্তানের অসুস্থতার কথা বাদ ই দিলাম।
সম্পর্কের এই হিসেব গুলো সত্যি মেলাতে পারিনা।মানুষ হিসেবে তাই প্রতিদিন একবার নিজেকে দেখি অন্য কে দেখার আগে। নিজেকে না দেখলে ,নিজের সাথে কথা না বললে ,প্রতি মুহুর্তেই মনে হয় প্রতিটি সেকেন্ড এ আমি একটা করে জাদু দেখা থেকে বঞ্চিত হলাম। মানুষ সত্যি বড় অদ্ভুত প্রাণী।
ekdom thik kotha .. nijeke na dekhle onno k ki sotti e dekha jai bolo ?? onk bhalo lagche j tumi shomporker ei choto choto sporsokator dik gulo niye aamader sobaike bhabte shekhacchho ...
উত্তরমুছুন