আজ তুই কথা বলবিনা।
আমি বলবো।
তুই শুধু শুনবি।
না ,এভাবে তাকিয়েও থাকবিনা।
ওই চোখের দিকে চাইলে আমি আবার মানুষ হয়ে যাবো।
আমি তোর্ চোখদুটো বুজে দিচ্ছি।
তুই আর চোখ খুলতে পারবিনা।
আজকের রাত টা কেবল আমার পুতুল।
আমার মতন কোরে এত রঙে ,
কে ,কবে সাজিয়েছে তোকে আমি জানিনা।
সেই যেদিন বুঝেছি ,
ভালবাসা বলে কি যেনো একটা আছে ,
কি যেন একটা অনুভূতি ,
ঠিক সেদিন ,
সেই মুহুর্তেই তোকে দেখে ফেলাটা বড় ভুল ছিলোরে।
আমি ভালোবেসেছিলাম।
আমি ভালোবসে ফেলেছিলাম।
কিন্তু ওই অসম্ভব সুন্দরের সামনে দাঁড়িয়ে
তাকে ভালবাসার নিবেদন জানাতে গেলে মনে হচ্ছিল ,
কোথাও যেনো কিছু কম হয়ে গেলো।
এই ভাবতে ভাবতে ,আর সাজাতে সাজাতেই
বড় অদ্ভুত ভাবে আমি হারিয়ে গেলাম।
আমি জানতেই পাইনি ---আমার পুতুল কে ,কে কবে নিয়ে গেছে অবলীলায় ,বড় অযত্নে।
আমি তবু তোকে দেখতাম।
তোর্ পথ চলা,
তোর্ বাড়ি ফেরা ,
তোর্ মাতৃত্বের মায়াভরা শরীর ,
আমি দেখতাম,
আর ভাবতাম.............
এই বা কম কি ?
আজো তো অন্ধ হয়ে যাইনি।
আজো তো আমার পুতুল আমার সমুখ দিয়ে তার বাড়ি যায়।
আমি তৃপ্ত ছিলাম।
ঐটুকুতেই আমি তৃপ্ত ছিলাম তো।
আমি তেমনই থাকতাম।
কেনো আমার অব্যেক্ত ভালোবাসা গুলোকে অমন করে কথার বাহুল্যে উড়িয়ে দিলাম ?
কেনো ?
জানিনা।
এবং
অবশেষে তুই আমার হয়ে গেলি। একেবারেই হঠাত।
আমার বোধ এলো ... পুতুল আমার হয়েছে।
আমার পুতুল আমার হয়েছে।
আমার স্বপ্ন বন্দী হয়েছে আমার চোখের ভিতর।
উফ কি আনন্দ।
কি অদ্ভুত আনন্দ।
এক দমকা হাওয়ায় মুহুর্তেই পাল্টে গেল পৃথিবী আমার।
তোর্ টোল পড়া হাসির দিকে তাকিয়ে
হুম ,শুধুমাত্র তোর্ ওই ডান গালে একটু বেশি টোল পড়া হাসির দিকে তাকিয়ে
প্রতিদিন আমি তোর্ ধর্ষিত রাত গুলোকে ক্ষমা করতে শুরু করে দিলাম।
আমি পারছিলাম।
কারণ আমি জানতাম ,
কারণ আমার বিশ্বাস ছিলো
ওই রাত্গুলোতেও আমার পুতুলের ভিতর আরেকটা প্রাণ থাকে।
আমার বিশ্বাস ছিলো আমার পুতুলের শরীর ভেজে কিন্তু মন ভেজেনা।
আমি বুঝতেই পাইনিরে
পুতুল কখনো আমার ,কখনো তার।
পুতুল ,
প্রাণহীন শরীর ও এত সুন্দর হয় ?
ও পুতুল ,তুই এত সুন্দর কেনো ?
পুতুল রে,এতো সুন্দর কেনো তুই ???