সোমবার, ৩০ জুন, ২০১৪

অজানা অচেনা








রহস্যময়ী হও তবুও
ছলনাময়ী আর হয়োনা।
অজানা হয়েই থাকো তবু ,
অচেনা তুমি আর হয়োনা।

খোঁপায় তোমার বেলী'ই থাকুক ,
বাগান ভরে হাসনাহেনা।
কদম ,চাঁপা যতই ডাকুক ,
ওই খোঁপাটি আর কারোনা।

স্পর্শে তোমার নাইবা ঘটুক
বিশাল কোনো সম্ভাবনা।
ওই স্পর্শেতে কেও চক্ষুষ্মান
এও কি বল কম ঘটনা ?

রহস্যময়ী হও তবুও
ছলনাময়ী আর হয়োনা।
অজানা হয়েই থাকো তবু ,
অচেনা তুমি আর হয়োনা।





গানের ভিতর গল্প থাকে






গানের চেয়ে সুর ভালো লাগে।
গানের ভিতর কথা থাকে ,
কথার  ভিতর গতি থাকে ,
গতির ভিতর একটা কোথাও চলে যাওয়া লুকোনো থাকে ,
অদৃশ্য বোধ ,
বাধা ,
শেষ পর্যন্ত.....
একটা কোনো গল্প থাকে,
সব গল্পের শেষ থাকে ,
একটা  কোনো  শেষ থাকে ,
আমার তাই গান ভালো লাগেনা
কারণ গানের ভিতর গল্প থাকে।

আমার সুর ভালো লাগে।  
সুরের মাঝে অসীম হতে,
শুন্য হতে,
অজানা হতে ভালো লাগে ,
নিজের মতন একটা কোনো শেষ সাজাতে ভালো লাগে।

গানের ভিতর শেষ থাকে।
গানের ভিতর গল্প থাকে।
সেই গল্প জানা থাকে।
জানা গল্পের শেষ থাকে।
একটা কোথাও শেষ থাকে।

তাই সুর ভালো লাগে।
আমার সুর ভালো লাগে।
আমার হারাতে ভালো লাগে ,
তোর ভিতর আমি।
আমার ভিতর তুই।
আমার আর তোর অজানা গল্পের
নানা বর্ণের শেষ সাজাতে ভালো লাগে।


বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০১৪

বিতোভেন বাজছিলো






বিতোভেন বাজছিলো।
অদ্ভুত রহস্যময় সুর।
কখনো নিয়ে চলে সমুদ্রে ,
কখনো বা আকাশে ,
কখনো পাহাড়ের নিস্তব্ধতায় ,
কখনো নিজেই জানিনা কোথায় !!
কখনো প্রাণে ঝড় তোলে ,
কখনোবা হৃদয় শান্ত করে।

আশ্চর্য !
এমন ও হয় ?
ঝড় আর কুয়াশার স্নিগ্ধতার সহবাস ,
দেখেছে কখনো কেউ ?
অদ্ভুত ,
ভারী অদ্ভুত !
আমি হারিয়ে যাচ্ছিলাম ,
যেমন হারাই প্রতিবার ওই অদ্ভুত সুরে।
সাথে ঘাসফড়িং টাও হারাচ্ছিল।
আমি ওকে ধরবার এক আকুল প্রচেষ্টায় ছিলাম।
কিন্তু আমার মতই ও বারেবার আপনাতে আপনি হারাচ্ছিলো।

আমি আজো মনে করতে পারিনা ,
ফড়িং টা কি সাদা ছিলো ?
নাকি সবুজ ?

সাদা হলে সে আমার স্বপ্ন ছিলো ,
আর
সবুজ হলে ,
তাকে আমার পেয়েও পাওয়া হয়নি।

বিতোভেন বাজছিলো ,
আর আমি হারাচ্ছিলাম ,
ওই পাগল সুরে
আমি হারিয়ে যাচ্ছিলাম ,
আমি হারিয়ে যাচ্ছিলাম।
দুরে ,বহুদূরে ,বহুদূরে। 

রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪

আমার চট্টগ্রাম

বৃষ্টি ভালোবেসে কতো কি যে লিখেছি। আজ আমার শৈশব বৃষ্টি তে অস্থির হয়ে আছে। ভেসে যাচ্ছে আমার চট্টগ্রাম। আমার ভালবাসার ,সবচাইতে ভালবাসার জায়গাটা ভাসছে বন্যার অভিশাপে। আমার দুহাত রিক্ত। শূন্য। কিচ্ছু করবার নেই।সবকিছু দেখে সয়েও আমার দিন কাটছে। আমার সময়গুলো সময় পার করছে।আমি আনন্দে কখনো দিনতিপাত করছি ,আমি খেলা দেখছি ,আর কিছু পরপর আমার চট্টগ্রাম দেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলছি।
ফুটবল খেলার নিদারুন ভক্ত আমি নই। কিন্তু গতরাতের খেলাটা দেখতে বসেছিলাম। প্রায় অধিকাংশ মানুষ আর্জেন্টিনার পাগল। সকলেই অস্থির মেসি  কে নিয়ে। ইরানের কাছে খুব স্বাভাবিক ভাবেই অল্প কিছু মানুষের প্রত্যাশা। টানটান উত্তেজনায় খেলাটা এগিয়ে নিচ্ছিলো ইরান।কেও আশা করেনি ওদের নিয়ে ঠিক এতোটা। আমি  আগেই বলেছি আমি খেলার ভীষণ  কোনো ভক্ত নই। শুধু গতরাতে মনে হলো অনেক ছোটবেলায় পড়া 'একতাই বল 'কথাটা কি ভীষণ  ভাবে প্রমান করতে চলেছে দুটো দল। সমানে খেলছে নিজের দেশ কে সম্মান এনে দিতে।সবাই মিলে কি অসাধারণ খেলছে। কিন্তু তবু সব  কিছুর মাঝে কিছু সত্যি আমাদের বোধ হয় মেনে নিতেই হয়।আমরা নির্ভর করতে ভালবাসি ,আমরা নির্ভর করতে শিখে গেছি কিছু অলৌকিক শক্তির ওপর।আমরা ভালবাসি ভাবতে কেও একজন অসাধারণ এগিয়ে আসবেন ।তিনি একাই আমাদের সকল পরাজয় থেকে জয়ের মুখ দেখাবেন ।এবং সেরকম নির্ভরযোগ্য মানুষ টা আমরা দেখেছি। সেই মেসি কে আমরা দেখেছি। তাঁদের বোধ হয় বলা হয় মোড় ঘোরানো মানুষ।যাঁরা পৃথিবীতে এসেছেন একক ভাবে ক্ষমতা নিয়ে।যাঁরা পাল্টে দিতে পারেন সময় ,সবকিছু। মুহুর্তেই।
ঠিক তেমনি সবখানে ,সব জায়গায় এরকম একটা মানুষের আবির্ভাবের প্রয়োজন বড় তীব্র ভাবে দেখা দেয়। সবাই স্বাধীনতার ডাক দিতে পারেনা।সবার ডাকে যুদ্ধ হয়না। কিছু ক্ষণজন্মা মানুষের ডাকে কোনকিছু ঘটে। সেই ক্ষণজন্মা ,অঘটন ঘটন পটীয়সী মানুষ টা  কোথায়?কোথায় লুকিয়ে আছে ???বৃষ্টি অভিশাপ নয়। বৃষ্টি ভালবাসার।ছয়টা ঋতুতে এত সুন্দর সাজে সাজতে পারে কটা দেশ ?আমার দেশ সাজতে পারে। শুধু আমার দেশ।কিন্তু আমরা মানুষ গুলো দেশ টাকে  নষ্ট করবার আগে কেনো ভাবিনা ?সবসময় কেন কেবল একজন দেবরূপ মানুষের আবির্ভাবের আশায় থাকি যিনি সকল অসম্ভব কে সম্ভব করে তুলবেন ???আমরা আমাদের পাল্টাবো নাকি এখনো কোনো দেবতুল্য মানুষের প্রতিক্ষায় থেকে যাবো ?ঈশ্বর অতিষ্ট হয়ে যদি ওই দেবতার আবির্ভাব বন্ধ করে দেন ?

শুক্রবার, ২০ জুন, ২০১৪

না









আজ আর তোর্ সাথে কথা হবেনা   ?


না।
কেমন স্পষ্ট করে বলে দিলি "না "!
স্পষ্ট করে বলতে ঠিক কতটা কষ্ট হলো
তা দেখলিনা ?

বাড়ি ফিরছি।
একবার বারান্দায় আয়।
কি হলো ?
চুপ কেনো ?
এখন স্পষ্ট করে বলে দে তবে "না "
পারছিস না ?

না
পারছিনা।

কেন ?

কারণ আমি যে তোর্ মতন না।
গাধা ,
তুই আয়।
আমি আসছি বারান্দায়।
তুইও পারবিনা
আমিও পারবোনা।

অতঃপর বৃষ্টি





ধুলোকণা যখন খুব বেশি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে

তার প'রে এক পশলা বৃষ্টি বয়ে গেলে ,
কেমন কিছু ধোঁয়া কুন্ডলী পাকিয়ে ওঠে।
বিজ্ঞানীদের কত কথা !
আমার কেবল মনে হয়
এই উত্তপ্ত আমার শান্ত হবার কথা ছিলো ,
এক পশলা বৃষ্টিতে হয়নি।
যা হবার তা হয়নি।
কেবল কিছু ধোঁয়া
কিছুক্ষণের জন্যে ঝাপসা করে রেখেছে আমার দুচোখ।

তুই হবি অমন এক পশলা বৃষ্টি?
কিছুটা সময়ের জন্যে ঝাপসা হউক সবার দৃষ্টি।
তার অন্তরালে আমি ধোঁয়া হই।
হতে হতে
হতে হতে ........
একসময় মেঘ হই ,
সেই  মেঘখানা
যে মেঘের ভেতর তুই ছিলি ?
সেই বৃষ্টি
যে এক পশলা বৃষ্টিতে তুই ছিলি ?
আমি মিশে যাই অমন করে
ধোঁয়া হয়ে ,মেঘ হয়ে ,অতঃপর বৃষ্টি হয়ে
কোনো বৈজ্ঞানিক ভালবাসায়?

রবিবার, ১৫ জুন, ২০১৪

ইচ্ছেঘুড়ি





'পুতুল , এত কম ঘুমোলে হবে ?

শরীর খারাপ করবেতো।
অত চাঁদ দেখাদেখি বন্ধ করতে হবে তোর।'

তুই  কি করে জানলি?

'কোজাগরী পূর্নিমা হয়েছিলাম তোর বারান্দায়।'

'অমন বর্ষা আর নামবেনা বলেছে কেউ ?
একদিনে অত বৃষ্টিস্নান ?
অসুখ করলে কে দেখবে বলতো ?'

তুই  কি করে জানলি ?

'এক টুকরো মেঘ হয়ে এসেছিলাম তোর ছাদে। '

'তোর কাজ আমি কিচ্ছু ভেবে পাইনাকো!
চৈত্রের অমন কাঠফাটা রোদ্দুরেও  পাখির বাসা খুঁজতে হবে ?
কটা পেলি  দুজনে মিলে ?'

তুই  কি করে জানলি  ?

'তোর উঠোনের সজনে গাছটার সাদা ফুল গুলো হয়েছিলাম।'

'একরাতে বেশ শৈত্য প্রবাহ বইছিলো।
অনেক শীত করছিলো তোর ?
ওখানেকি আমার বুকের চেয়ে বেশি উষ্ণতা ?
নাকি তুই  উষ্ণ হবার ভান করছিলি?'

তুই  কি করে জানলি?

'কুয়াশার সাথে বোঝাপড়া চলছিলো।'

'সমুদ্র কে  সামনে রেখে কখনো মিথ্যে বলতে নেই।
সেদিন তোর নিশ্বাসে বিশ্বাস ছিলো  কি ?
অমন সমুদ্রস্নানে মিথ্যে কেমন করে বললি ?

তুই  কি করে জানলি?

'অবুঝ শামুকটা তোর শুভ্র সুন্দর পা দুটো রক্তাক্ত করেছিলো
তাকে চিনতে পারিসনি?'

'আমার সকল সুখ তুই  খন্ডিত করেছিস।
আর কোনো সুখে ওকে জড়াতি।
আর কোনো ভালোলাগায় ?
ওকে কেনো বৃষ্টি দিলি ?
ওকে কেনো সমুদ্র দিলি?
ওকে কেনো পূর্নিমা দিলি?'

তুই  কি করে জানলি ?

'ইচ্ছেঘুড়ির কাছে ।
তোর চোখের পাতায় ওড়াই।
প্রতিদিন। 
তোর চোখ কাঁপে।
আর আমি বুঝি
মিথ্যে বলতে তোর খুব কষ্ট হয় পুতুল।'



শনিবার, ১৪ জুন, ২০১৪

তোর চলে যাওয়া








আমার সমুখ থেকে তুই  চলে যাস।

ধীরে মিলিয়ে যাস দূরে, বহুদূরে।
আমি কেমন অপলক চেয়ে থাকি।
আমি ভুলে যাই একটা ব্যাস্ততম রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি।
যে কোনো মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
আমি সব ভুলে যাই।
তোর চলে যাওয়া দেখতে দেখতে
আমি কেমন সব ভুলে যাই।
আমার তখন কেবল মনে পড়ে
তোকে আমার ঠিকঠাক দেখা হয়নি।
আমার মনে পড়ে
অনেক কথা সাজিয়ে রেখেছিলাম 
বলা হয়নি।
বলা হয়নি :"তোর মুখের মতন আরেক খানা মুখ কেন খুঁজে পাইনাকো ?"
আরো  কি অদ্ভুত জানিসতো ?
তুই চলে যাস যখন একেবারে চোখের বাইরে,
ঠিক ,
ঠিক তখনই মনে পড়ে
বলা হয়নি,
বলা হয়নি .............
"পুতুল, আমি তোকে সবচাইতে ,সবচাইতে ,সবচাইতে ,সবচাইতে, সবচাইতে  বেশি ভালবাসি।"

শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০১৪

মায়া





আজ তুই কথা বলবিনা।

আমি বলবো।
তুই শুধু শুনবি।
না ,এভাবে তাকিয়েও থাকবিনা।
ওই চোখের দিকে চাইলে আমি আবার মানুষ হয়ে যাবো।
আমি তোর্ চোখদুটো বুজে দিচ্ছি।
তুই আর চোখ খুলতে পারবিনা।
আজকের রাত টা কেবল আমার পুতুল।

আমার মতন কোরে এত রঙে ,
কে ,কবে সাজিয়েছে তোকে আমি জানিনা।
সেই যেদিন বুঝেছি ,
ভালবাসা বলে কি যেনো একটা আছে ,
কি যেন একটা অনুভূতি ,
ঠিক সেদিন ,
সেই মুহুর্তেই তোকে দেখে ফেলাটা বড় ভুল ছিলোরে।
আমি ভালোবেসেছিলাম।
আমি ভালোবসে ফেলেছিলাম।
কিন্তু ওই অসম্ভব সুন্দরের সামনে দাঁড়িয়ে
তাকে ভালবাসার নিবেদন জানাতে গেলে মনে হচ্ছিল ,

কোথাও যেনো কিছু কম হয়ে গেলো।

এই ভাবতে ভাবতে ,আর সাজাতে সাজাতেই

বড় অদ্ভুত ভাবে আমি হারিয়ে গেলাম।

আমি জানতেই পাইনি ---আমার পুতুল কে ,কে কবে নিয়ে গেছে অবলীলায় ,বড় অযত্নে।

আমি তবু তোকে দেখতাম।

তোর্ পথ চলা,

তোর্ বাড়ি ফেরা ,

তোর্  মাতৃত্বের মায়াভরা শরীর ,

আমি দেখতাম,

আর ভাবতাম.............

এই বা কম কি ?

আজো তো অন্ধ হয়ে যাইনি।

আজো তো আমার পুতুল আমার সমুখ দিয়ে তার বাড়ি যায়।

আমি তৃপ্ত ছিলাম।

ঐটুকুতেই আমি তৃপ্ত ছিলাম তো।

আমি তেমনই থাকতাম।

কেনো আমার অব্যেক্ত ভালোবাসা গুলোকে অমন করে কথার বাহুল্যে উড়িয়ে দিলাম ?
কেনো ?
জানিনা।
এবং
অবশেষে তুই আমার হয়ে গেলি। একেবারেই হঠাত।
আমার বোধ এলো ... পুতুল আমার হয়েছে।
আমার পুতুল আমার হয়েছে।
আমার স্বপ্ন বন্দী হয়েছে আমার চোখের ভিতর।
উফ কি আনন্দ।
কি অদ্ভুত আনন্দ।
এক দমকা হাওয়ায় মুহুর্তেই পাল্টে গেল পৃথিবী আমার।

তোর্ টোল পড়া হাসির দিকে তাকিয়ে
হুম ,শুধুমাত্র তোর্ ওই ডান গালে একটু বেশি টোল পড়া হাসির দিকে তাকিয়ে
প্রতিদিন আমি তোর্ ধর্ষিত রাত গুলোকে ক্ষমা করতে শুরু করে দিলাম।

আমি পারছিলাম।
কারণ আমি জানতাম ,
কারণ আমার বিশ্বাস ছিলো
ওই রাত্গুলোতেও আমার পুতুলের ভিতর আরেকটা প্রাণ থাকে।
আমার বিশ্বাস ছিলো আমার পুতুলের শরীর ভেজে কিন্তু মন ভেজেনা।
আমি বুঝতেই পাইনিরে
পুতুল কখনো আমার ,কখনো তার।

পুতুল ,
প্রাণহীন শরীর ও এত সুন্দর হয় ?
ও পুতুল ,তুই এত সুন্দর কেনো ?
পুতুল রে,এতো সুন্দর কেনো তুই ???

সোমবার, ৯ জুন, ২০১৪

তুই কবে বুঝবি ?



খেপেছিস ?
কি হলো ?
চুপ কেনো ?
খেপে আছিস ?

প্লিস ,নট  ফীল লাইক টকিং উইথ ইউ রাইট নাউ।
ওরে খেপেছেতো। ইংরেজিতে কথা বলছেতো।
কি হয়েছে বলবিতো?

তুইকি কিছুই বুঝিসনা পুতুল ?
কখন থেকে এইখানটায় দাঁড়িয়ে আছি।

কি করবো বলতো ?
সবকটা রাস্তা জ্যাম।
আজি বোধ হয় সবাই একসাথে কাজে নেমেছে।
লক্ষী সোনা আমার।
রাগ করেনা।
মাত্র তো দশ টা মিনিট।
কতো শত কাজ সেরে তবে আসতে হয় তোর্ কাছে।
কতো মিথ্যের ফুলঝুরি সাজিয়ে,
তবে শেষমেষ তোর্ কাছে আসা।
তুই কবে বুঝবি বলতো ?
বুদ্ধু একটা।

আমারতো দেরী হয়না পুতুল।
আমারতো কক্ষনো দেরী হয়না তোর্ কাছে আসতে।
আমিতো সব কাজ ফেলে ছুঁড়ে, পাগলের মতো ছুটে আসি।
পুতুল ,
তুই কবে বুঝবি ?
তোর্ দশ মিনিট
আমার দশ বছর বাঁচার হিসেব।

শনিবার, ৭ জুন, ২০১৪

অভিমানী পুতুল সোনা









হ্যালো,হ্যালো ,

কি হলো ?চুপ করে আছিস কেনো ?
পুতুল ,কি হলো ?
কথা বল।

আমার তোর্ সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছেনা।
মাত্র পাঁচটা মিনিট দেরী হলো ফোন টা ধরতে।
তাতেই তুই ????
আমি কথা বলবোনা।
আর কথা বলবোনা তোর্ সাথে। 

কতদিন ?

মানে ?

মানে কতক্ষণ ডিওরেশন ?

কাল সকাল অব্দি।

আরেকটু কমিয়ে আনা যায়না ?

কি?

শাস্তির সময়্টা।

উফ। অসহ্য।

এই তোকে কি অদ্ভুত সুন্দর লাগছেরে।
যা ,যা ,আয়নার সামনে গিয়ে একটা বার দেখ।
গাল দুটো ফোলা অভিমানে।
চোখে হাসি।
উউফ কি সুন্দর।
পুতুল,তুই এত সুন্দর কেনোরে ?
তোকে আদর করতে ইচ্ছে করছে।
পুতুল,তোকে খুব আদর করতে ইচ্ছে করছেরে।


শুক্রবার, ৬ জুন, ২০১৪

পুতুল তোকে আমি সবচাইতে ,সবচাইতে ,সবচাইতে,সবচাইতে ,সবচাইতে বেশি ভালবাসি




"আলো কই ?এ ঘরে কি একদিন ও আলো জ্বলবেনা ?"
"রানীমা ,তোমার ঘরে ঘরেই তো আলো জ্বলছে -তার থেকে সরে আসবার জন্যে কি একটা ঘরেও অন্ধকার রাখবেনা?"
একঘেঁয়েমি জীবন হয়ে গেলে 
আনন্দ শঙ্করের সুরের সাথে 
রবি ঠাকুরের "রাজা "
ভালো লাগেনি এমন কখনো হয়নি। 
আজ ভালো লাগছেনা। 

ঝড়ো হাওয়া নিয়ে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেলো একটু আগেই। 
ওই বৃষ্টি আমায় পরবর্তী ৬/৭ দিন সর্দি আর জ্বরের শাস্তি দেবেনা 
হয়নি। 
এমন হয়নি কখনো। 
আশ্চর্য !!!!
আজ আমার ঝড় ভালো লাগছেনা। 

বাড়ির কোলাহলে আমি নেই ,
শিশুদের আহ্লাদে আমি নেই ,
ধ্রুব'র একটা ডাকের জন্যে অপেক্ষার তীব্রতায় আমি নেই ,
এমন হয়নি। 
হয়নি। 
হয়নি কখনো।

আমি বুঝতে পারছি আমার কিচ্ছু ভালো লাগবেনা তোকে ছাড়া। 
শাস্তি টা বেশ দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে রে । 
আমি আর পারছিনা। 
আর পারছিনা।
এমন করে বোঝাতে হয়না ভালবাসা।
ওই নাম এতো প্রিয় হবে কে জানতো ? 
ওই নাম এতো কষ্টের হবে কে জানতো ?
অভ্যেসের বদ্ধ চিলেকুঠুরি থেকে ওই নাম দেবে জীবনের সন্ধান,
কে জানতো ?
কে জানতো এত বছরের অভ্যস্ত নামের চেয়ে পুতুল আমায় বাঁচতে শেখাবে?
একবার ডাক না ..."পুতুল ".
শুধু একবার বল :
"পুতুল, তোকে আমি সবচাইতে ,সবচাইতে ,সবচাইতে,সবচাইতে ,সবচাইতে বেশি ভালবাসি।"

বুধবার, ৪ জুন, ২০১৪

পুতুলের জ্বর

জ্বর কত এখন তোর্ ?
১০২
ওষুধ খেয়েছিস ?
হুম।
খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে পুতুল ?
না।
মিথ্যে বলছিস কেনোরে ?
জ্বর এলেই তো তোর্ মাইগ্রেন পেইন হয়।
কষ্ট পাস অনেক।অনেক কষ্ট হচ্ছে পুতুল ?
ও পুতুল ,বলনা।
খুব বেশি ব্যাথা ?
আসবো আমি ?
নিঃশ্বাস ফেললি কেনো এমন কোরে ?
তুই বারান্দায় আসবি একটু ?

এতো কষ্টের মাঝেও হাসাতে পারিস।
তুই একটা অদ্ভুত মানুষ রে।

আমি হাসির কথা কি বললাম পুতুল ?

তুই কতো পাগল  আমার জন্যে তাইনা রে?
অথচ কেমন বাজে টা দেখতো ?
তুই কেবল আমার সুখ সুখ সময় গুলোর সঙ্গী
আমার সবচেয়ে কষ্টের সময়গুলোতে তোর্ কোনো অস্তিত্বই নেই।
এ আমি কোন মরিচিকার পেছনে ঘুরছি বলতে পারিস ?

আমার দরজাটা খোলা পুতুল
তুইই  বলেছিস আসতে পারবিনা।
আমি তাই মেনে নিয়েছি।
এটুক তোকে পাব আমার কাছে স্বপ্নের ও বাইরে।

পুতুল ,
এই জ্বরের ঘোরে তুই আপন আর পর খুঁজে মরছিস ?
অসুখের সময় যারা পাশে থাকে তারাই যদি এত্ত আপন হতো
তবে ডাক্তার আর নার্স দের সাথে থাকনা।
যা ?
ওদের সাথেই থাক?
গাধা।
এতসব বোঝার মতন বোধ বুদ্ধি সৃষ্টিকর্তা তোকে দেননি।
আনফরচুনেটলি গাধাই রেখে দিয়েছেন।
আসছি আমি।
বারান্দায় আয়।
তোর্ জ্বর এখুনি সেরে যাবে।
আয় পুতুল।
হাস।
এবার তোর্ সেই হাসিটা দে।
দু গালে দুটো টোল পরুক।
ডান গালটাতে একটু বেশি।
সেই  হাসিটা  ............
যে হাসি দেখতে দেখতে মানুষ খুন করে ফেলা যায়...........................


মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০১৪

ছুঁয়ে দে আমায়


মাথায় কি গোবর ঠাসা আছে ?
এমন করে রাস্তা পার হয় কেও ?
হাত টা ধর ভালো করে।

আশ্চর্য !তুই এমন করিস যেন আমার বয়েস হয়নি মোটেও ?
ছোট্ট টি আছি এখনো ?
রাস্তা টাও পেরুতে পারবোনা ?

বুঝবিনা তুই আসলে।

উফ বারেবারে এক কথা।
বুঝবিনা পুতুল ,তুই বুঝবিনা।

আরে আরে ধীরে সুস্থে খা।
এত্ত তাড়া কিসের তোর্ ?
দিলিতো সব গুবলেট করে ?
পুরো মুখে লাগিয়েছিস।
চাওমিন টাও ঠিকঠাক খেতে শিখিসনি !
আয় মুছে দিই।

ন্যাকা ,আমি যেন বাচ্চাটি।
মুছতেও  জানিনা।
আশ্চর্য সমস্ত কথাবার্তা।
পাগল একটা।

বুঝবিনা পুতুল
তুই সত্যিই বুঝবিনা।
তুই বড্ড বোকা রে।

এই দেখতো ,চোখটা কেমন জ্বালা করছে হঠাত।
কিছু পড়ল বুঝি ?

কই দেখি ,দেখি .
আরেবাবা দেখতে দে আমায়।
পিপঁড়ে পড়লে খবর হয়ে যাবে কিন্তু।


হলো তোর্ দেখা ?

না ,না এখনো হয়নি।

এই জীবনে হবেওনা।

কি ?কিছু বললি আমায় ?

হুম ,ভুল বললাম কিছু ?
তোর্ পুতুল রাস্তা পার হতে জানেনা ,
তোর্  পুতুল খেয়ে মুখ মুছতে জানেনা ,
তোর্  পুতুল চোখে পিপঁড়ে পড়লে সরাতে জানেনা ,
তুই ছুঁয়ে না দিলে তোর্ পুতুল কিচ্ছু করতে জানেনা।

তোর্ সবকিছু কেবল আমার






দেখ দেখ ফাজলামির  একটা সীমা থাকা দরকার ,

উজবুক ,অসভ্য কোথাকার,এই কি দেখছিস ?
মেয়ে দেখিসনি আর ?
পুতুল ,তুই হাসছিস কেনো ?
মারবো এক চড়।
কেমন ক্যাবলার মতোন দেখছে তোকে। অদ্ভুত।
তুই আবার হাসছিস ?
তুই কি রে ?
এক্ষুনি পড়বি রিক্সা থেকে।
উফ ,এই মেয়েটাকে আর কতো সামলাবো আমি ?

এই ,এই তুই আবার আমার কোমর জড়িয়ে ধরলি ?
ছাড় ,ছাড় বলছি।
লাফ দেবো একেবারে।

দে না ,লাফিয়ে দেখ।
পারিস কিনা ?
হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বেন তিনি
আর আমি একটু জড়িয়ে ধরলেই দোষ।

পুতুল ,তোকে নিয়ে আর রিক্সায় ঘুরতে বেরুবোনা আমি
মাথায় রক্ত চেপে যায়।
হাসছিস কেনো ?
দেখ,মেজাজ টা বিগড়ে আছে এমনিতেই।
আর বিরক্ত করবিনা আমাকে।

আচ্ছা ?তুই এমন কেনোরে ?
তোর্ জন্যে তবে রাস্তায় কারফিউ জারী হওয়া উচিত।
প্রতিবার কারুর না কারুর সাথে মারামারি করছিস ?
একটা কাজ কর।
একটা সুন্দর বাক্স বানিয়ে নে।
ওখানে পুতুল কে বন্দী করে রেখে দে।

খুব একটা ভুল বলিসনি কিন্তু।
আমি তোকে খুন ও করে ফেলতে পারি।
তোর্ সবকিছু কেবল আমার।
কেবল আমারই  দেখবার পুতুল।

রবিবার, ১ জুন, ২০১৪

বন্দী স্বপ্ন

কি হয়েছিলো ?
বললাম তো।
কেনো এমন করেছিলে ?
জানিনা
কতদিন ?
দিন নয়তো ,বছর। দশ বছর। আজ মিলিয়ে দশ বছর পাঁচ দিন হলো।
আশ্চর্য !কেনো একটাবার বললেনা ?
ভয়ে।
কিসের ভয় ?আমিকি বাঘ নাকি ভালুক ?
হা হা হা।তার চেয়ে বেশি ।
কি বেশি ?
সুন্দর। খুব বেশি। খুব বেশি। এই পাগলি বুঝি কখনো আমার হতে পারে ?
বছরের পর বছর কেবল এই ভাবতে ,ভাবতেই।
কত শত কৃষ্ণচুড়ার রঙিন পথ একা,বড় একা পেরিয়ে গিয়েছি।
কত শ্রাবন মিশে গেছে চোখের শ্রাবন ধারায়।
কেবল ওই চারতলা বাড়িটার বারান্দা খানা।
কখন  দাঁড়াবে রাজকুমারী,
কখন বেরুবে ওই লাল গেট পেরিয়ে,
কত শত বার ওই বোকা দারওয়ান টার কাছে জানতে চাওয়া :"এই বাড়িটা খালি আছে ?"

এত কিছু ?

হুম। এত কিছু।

তবে কেনো এলে ?
এখনতো বড় অসময় হয়ে গেলো।

পারলামনা আর।
দম বন্ধ হয়ে আসছিলো।
আমি আর পারলামনা পুতুল।
আমি বাঁচতে চাই পুতুল।
আমায় তুই বাঁচা।
গল্পটা পাল্টে দে আমার।
পুতুল আমার জীবনের গল্পটা পাল্টে দে তুই।

এতো অসময়ে ?
এতোটা সময় চুরি করে ফেললি ?
আমিতো সত্যি কারোর পুতুল হতে চেয়েছিলাম।
অমন যত্নে সুন্দর সাজিয়ে রাখা একটা পুতুল।
বন্দী স্বপ্ন ছাড়লি যদি তবে এত দেরী কেনো করলিরে ?
কেন বুঝিসনি ?

কি করে বুঝবো ?এই পাগলি কখনো আমার পুতুল হয়ে যেতে পারে ?