'পুতুল , এত কম ঘুমোলে হবে ?
শরীর খারাপ করবেতো।
অত চাঁদ দেখাদেখি বন্ধ করতে হবে তোর।'
তুই কি করে জানলি?
'কোজাগরী পূর্নিমা হয়েছিলাম তোর বারান্দায়।'
'অমন বর্ষা আর নামবেনা বলেছে কেউ ?
একদিনে অত বৃষ্টিস্নান ?
অসুখ করলে কে দেখবে বলতো ?'
তুই কি করে জানলি ?
'এক টুকরো মেঘ হয়ে এসেছিলাম তোর ছাদে। '
'তোর কাজ আমি কিচ্ছু ভেবে পাইনাকো!
চৈত্রের অমন কাঠফাটা রোদ্দুরেও পাখির বাসা খুঁজতে হবে ?
কটা পেলি দুজনে মিলে ?'
তুই কি করে জানলি ?
'তোর উঠোনের সজনে গাছটার সাদা ফুল গুলো হয়েছিলাম।'
'একরাতে বেশ শৈত্য প্রবাহ বইছিলো।
অনেক শীত করছিলো তোর ?
ওখানেকি আমার বুকের চেয়ে বেশি উষ্ণতা ?
নাকি তুই উষ্ণ হবার ভান করছিলি?'
তুই কি করে জানলি?
'কুয়াশার সাথে বোঝাপড়া চলছিলো।'
'সমুদ্র কে সামনে রেখে কখনো মিথ্যে বলতে নেই।
সেদিন তোর নিশ্বাসে বিশ্বাস ছিলো কি ?
অমন সমুদ্রস্নানে মিথ্যে কেমন করে বললি ?
তুই কি করে জানলি?
'অবুঝ শামুকটা তোর শুভ্র সুন্দর পা দুটো রক্তাক্ত করেছিলো
তাকে চিনতে পারিসনি?'
'আমার সকল সুখ তুই খন্ডিত করেছিস।
আর কোনো সুখে ওকে জড়াতি।
আর কোনো ভালোলাগায় ?
ওকে কেনো বৃষ্টি দিলি ?
ওকে কেনো সমুদ্র দিলি?
ওকে কেনো পূর্নিমা দিলি?'
তুই কি করে জানলি ?
'ইচ্ছেঘুড়ির কাছে ।
তোর চোখের পাতায় ওড়াই।
প্রতিদিন।
তোর চোখ কাঁপে।
আর আমি বুঝি
মিথ্যে বলতে তোর খুব কষ্ট হয় পুতুল।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন