রবিবার, ১৫ জুন, ২০১৪

ইচ্ছেঘুড়ি





'পুতুল , এত কম ঘুমোলে হবে ?

শরীর খারাপ করবেতো।
অত চাঁদ দেখাদেখি বন্ধ করতে হবে তোর।'

তুই  কি করে জানলি?

'কোজাগরী পূর্নিমা হয়েছিলাম তোর বারান্দায়।'

'অমন বর্ষা আর নামবেনা বলেছে কেউ ?
একদিনে অত বৃষ্টিস্নান ?
অসুখ করলে কে দেখবে বলতো ?'

তুই  কি করে জানলি ?

'এক টুকরো মেঘ হয়ে এসেছিলাম তোর ছাদে। '

'তোর কাজ আমি কিচ্ছু ভেবে পাইনাকো!
চৈত্রের অমন কাঠফাটা রোদ্দুরেও  পাখির বাসা খুঁজতে হবে ?
কটা পেলি  দুজনে মিলে ?'

তুই  কি করে জানলি  ?

'তোর উঠোনের সজনে গাছটার সাদা ফুল গুলো হয়েছিলাম।'

'একরাতে বেশ শৈত্য প্রবাহ বইছিলো।
অনেক শীত করছিলো তোর ?
ওখানেকি আমার বুকের চেয়ে বেশি উষ্ণতা ?
নাকি তুই  উষ্ণ হবার ভান করছিলি?'

তুই  কি করে জানলি?

'কুয়াশার সাথে বোঝাপড়া চলছিলো।'

'সমুদ্র কে  সামনে রেখে কখনো মিথ্যে বলতে নেই।
সেদিন তোর নিশ্বাসে বিশ্বাস ছিলো  কি ?
অমন সমুদ্রস্নানে মিথ্যে কেমন করে বললি ?

তুই  কি করে জানলি?

'অবুঝ শামুকটা তোর শুভ্র সুন্দর পা দুটো রক্তাক্ত করেছিলো
তাকে চিনতে পারিসনি?'

'আমার সকল সুখ তুই  খন্ডিত করেছিস।
আর কোনো সুখে ওকে জড়াতি।
আর কোনো ভালোলাগায় ?
ওকে কেনো বৃষ্টি দিলি ?
ওকে কেনো সমুদ্র দিলি?
ওকে কেনো পূর্নিমা দিলি?'

তুই  কি করে জানলি ?

'ইচ্ছেঘুড়ির কাছে ।
তোর চোখের পাতায় ওড়াই।
প্রতিদিন। 
তোর চোখ কাঁপে।
আর আমি বুঝি
মিথ্যে বলতে তোর খুব কষ্ট হয় পুতুল।'



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন