প্রচলিত রীতি অনুযায়ী মেয়েরা বাবাদের বেশি ভালোবাসে।রুদ্মিলার সবকিছুতেই ছোটবেলা থেকে ভারী অদ্ভুত।রুদ্মিলার বাবা কন্যাশিশুর বিরোধী বলেই হয়তো শৈশব থেকে বাবার সাথে মধুর সখ্যতা তার হয়ে ওঠেনি।
তাই তার জীবনের একটা বিরাট অংশ জুড়ে রয়ে গেছে হারিয়ে যাওয়া মা।কিন্তু ওই মা টা কেমন আবার অদ্ভুত ছিলো বলে মাঝেমাঝে রুদ্মিলা নিজেই বেশ একটা দ্বিধায় পড়ে যেতো।মা টা কেমন যেনো মেয়ে ছিলোনা। একটা আশ্চর্য দ্বৈত সত্তা ছিলো।সে কথায় আসছি পরে।
রাজনীতি ব্যাপারটায় রুদ্মিলা খুবই অপক্ক। বুঝতেও ভালো লাগেনা ,যুঝ তেও নয়। দেশের রাজনীতি অথবা বাইরের ,বুঝতে নিলেই ওর ক্লান্ত লাগে।সবসময়।সবচেয়ে মজার ব্যাপারটা হলো রুদ্মিলার বুঝতে অনেক সময় লেগে গেছে রাজনীতি যে কেবলমাত্র দেশের নেতা নেত্রীর মাঝে সীমাবদ্ধ তা নয়। আসলে সংসার টা ও একটা রাজনীতির ক্ষেত্র বটে।আর অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার টা হলো রুদ্মিলা ছোটবেলা থেকেই এই একটা জায়গায় তার ভুবনজয়ী মা কে হারতে দেখেছে।সংসার যখনই রাজনীতি হয়ে গেছে মা ঠিক তখনই রণে ভঙ্গ দিয়েছে।রুদ্মিলা এখনো ভাবতে নিলে হেসে ফেলে। মা খুব আগ্রহ ভরে ভারতীয় টি ভি সিরিয়াল গুলো দেখতো। সব ভাষার। শুধু জানার জন্যে কেমন করে ট্রাম কার্ড টা কোন সময়ে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করতে হয় সংসার নামক রাজনীতির খেলার মাঠে। কিন্তু প্রতিবারই বোকা মা টা হেরে ভূত হয়ে থাকতো।ভয়ানক রেগে যেতো।মুখটা করে নিতো পাহাড়ের মতো। কিছুতেই কোনদিন ওই যুদ্ধে মা জিতে আসতে পারেনি।মাঝে মাঝে তাই মায়ের খুব হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হতো। সমুদ্রের চেয়ে পাহাড়ের কথা বলতো বেশি।খুব পাহাড়ে হারাতে চাইতো।
রুদ্মিলা নানা ভাবে চেষ্টা করত মা কে জিতিয়ে দিতে। কারণ মায়ের ওই পাহাড়ের মত গম্ভীর হয়ে যাওয়া কষ্টের মুখটা ওর একেবারেই অসহ্য লাগতো।আর তাছাড়া মা তো কোনো চাকরি বা আর কোনো কিছু করতোনা। তার সময় টা যদি একটু আধটু সাংসারিক রাজনীতি করেই না কাটবে তবেতো দম বন্ধ হয়ে আসার কথা। তিনি কি করে সময় কাটাবেন ?এই একটা কারণে রুদ্মিলার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ছিলো তার নিজের সমস্ত বিদ্যা বুদ্ধি দিয়ে মা কে জিতিয়ে দেয়া। কিন্তু রুদ্মিলা ভয়াবহ ভাবে তার মা এর প্রতিটি দোষ আর গুন পেয়ে নিয়েছে বড় যত্নে।অনেক চেষ্টা করেও রুদ্মিলা কোনদিন সংসারের নোংরা রাজনীতির মাঠে মা টাকে জিতিয়ে দিতে পারেনি।
এবার আসছি সেই শুরুর কথাটায়। দ্বৈত সত্তা।রুদ্মিলা খুব অবাক হতো তার মায়ের বিভিন্ন রূপ দেখে। খুব ধার্মিক একজন মানুষ অথচ বেশ ভূষায় তার কোনো চিন্হ নেই।খুব আধুনিক অথচ তার কোনো বিরক্তিকর প্রকাশভঙ্গি নেই।দেহে নারী অথচ মনের ভিতর একটা শক্তিশালী পুরুষের মত মানুষ।এমন আরো অনেক রূপের ভান্ডার দেখতে দেখতে রুদ্মিলার একসময় বুঝতে কষ্ট হয় মা কি পুরুষ না কি নমনীয় নারী !
এবং একসময় রুদ্মিলা আবিষ্কার করতে শুরু করে তার মা আসলে একটা মানুষ। পরিপূর্ণ মানুষ। নারী ও নয়। নয় পুরুষ ও।
রুদ্মিলার খুব ইচ্ছে করে চিত্কার করে মা কে বলতে :"অনেক ধন্যবাদ মা। তুমি পারনি বলেই আমিও পারিনি।তুমি পাহাড় ভালবাসতে বলেই আজ আমার গান গাওয়া হয়। তুমি বৃষ্টি ভালবাসতে বলেই তোমার মেয়ে কবিতা লেখে।
থাকনা। সংসারের রাজনীতি থেকে নাহয় একটা নক্ষত্র বিচ্যুত হলো। কি আসে যায়। কিছু সৃষ্টি হলোতো ?সুন্দর ,পবিত্র,কল্যানকর। "
তাই তার জীবনের একটা বিরাট অংশ জুড়ে রয়ে গেছে হারিয়ে যাওয়া মা।কিন্তু ওই মা টা কেমন আবার অদ্ভুত ছিলো বলে মাঝেমাঝে রুদ্মিলা নিজেই বেশ একটা দ্বিধায় পড়ে যেতো।মা টা কেমন যেনো মেয়ে ছিলোনা। একটা আশ্চর্য দ্বৈত সত্তা ছিলো।সে কথায় আসছি পরে।
রাজনীতি ব্যাপারটায় রুদ্মিলা খুবই অপক্ক। বুঝতেও ভালো লাগেনা ,যুঝ তেও নয়। দেশের রাজনীতি অথবা বাইরের ,বুঝতে নিলেই ওর ক্লান্ত লাগে।সবসময়।সবচেয়ে মজার ব্যাপারটা হলো রুদ্মিলার বুঝতে অনেক সময় লেগে গেছে রাজনীতি যে কেবলমাত্র দেশের নেতা নেত্রীর মাঝে সীমাবদ্ধ তা নয়। আসলে সংসার টা ও একটা রাজনীতির ক্ষেত্র বটে।আর অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার টা হলো রুদ্মিলা ছোটবেলা থেকেই এই একটা জায়গায় তার ভুবনজয়ী মা কে হারতে দেখেছে।সংসার যখনই রাজনীতি হয়ে গেছে মা ঠিক তখনই রণে ভঙ্গ দিয়েছে।রুদ্মিলা এখনো ভাবতে নিলে হেসে ফেলে। মা খুব আগ্রহ ভরে ভারতীয় টি ভি সিরিয়াল গুলো দেখতো। সব ভাষার। শুধু জানার জন্যে কেমন করে ট্রাম কার্ড টা কোন সময়ে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করতে হয় সংসার নামক রাজনীতির খেলার মাঠে। কিন্তু প্রতিবারই বোকা মা টা হেরে ভূত হয়ে থাকতো।ভয়ানক রেগে যেতো।মুখটা করে নিতো পাহাড়ের মতো। কিছুতেই কোনদিন ওই যুদ্ধে মা জিতে আসতে পারেনি।মাঝে মাঝে তাই মায়ের খুব হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হতো। সমুদ্রের চেয়ে পাহাড়ের কথা বলতো বেশি।খুব পাহাড়ে হারাতে চাইতো।
রুদ্মিলা নানা ভাবে চেষ্টা করত মা কে জিতিয়ে দিতে। কারণ মায়ের ওই পাহাড়ের মত গম্ভীর হয়ে যাওয়া কষ্টের মুখটা ওর একেবারেই অসহ্য লাগতো।আর তাছাড়া মা তো কোনো চাকরি বা আর কোনো কিছু করতোনা। তার সময় টা যদি একটু আধটু সাংসারিক রাজনীতি করেই না কাটবে তবেতো দম বন্ধ হয়ে আসার কথা। তিনি কি করে সময় কাটাবেন ?এই একটা কারণে রুদ্মিলার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ছিলো তার নিজের সমস্ত বিদ্যা বুদ্ধি দিয়ে মা কে জিতিয়ে দেয়া। কিন্তু রুদ্মিলা ভয়াবহ ভাবে তার মা এর প্রতিটি দোষ আর গুন পেয়ে নিয়েছে বড় যত্নে।অনেক চেষ্টা করেও রুদ্মিলা কোনদিন সংসারের নোংরা রাজনীতির মাঠে মা টাকে জিতিয়ে দিতে পারেনি।
এবার আসছি সেই শুরুর কথাটায়। দ্বৈত সত্তা।রুদ্মিলা খুব অবাক হতো তার মায়ের বিভিন্ন রূপ দেখে। খুব ধার্মিক একজন মানুষ অথচ বেশ ভূষায় তার কোনো চিন্হ নেই।খুব আধুনিক অথচ তার কোনো বিরক্তিকর প্রকাশভঙ্গি নেই।দেহে নারী অথচ মনের ভিতর একটা শক্তিশালী পুরুষের মত মানুষ।এমন আরো অনেক রূপের ভান্ডার দেখতে দেখতে রুদ্মিলার একসময় বুঝতে কষ্ট হয় মা কি পুরুষ না কি নমনীয় নারী !
এবং একসময় রুদ্মিলা আবিষ্কার করতে শুরু করে তার মা আসলে একটা মানুষ। পরিপূর্ণ মানুষ। নারী ও নয়। নয় পুরুষ ও।
রুদ্মিলার খুব ইচ্ছে করে চিত্কার করে মা কে বলতে :"অনেক ধন্যবাদ মা। তুমি পারনি বলেই আমিও পারিনি।তুমি পাহাড় ভালবাসতে বলেই আজ আমার গান গাওয়া হয়। তুমি বৃষ্টি ভালবাসতে বলেই তোমার মেয়ে কবিতা লেখে।
থাকনা। সংসারের রাজনীতি থেকে নাহয় একটা নক্ষত্র বিচ্যুত হলো। কি আসে যায়। কিছু সৃষ্টি হলোতো ?সুন্দর ,পবিত্র,কল্যানকর। "
Cool
উত্তরমুছুন