বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫

প্রেম












ভালোবাসা নিয়ে হাতের পাতায়
রেখেছো যখন হাত
হৃদয়ে এসেছে সোনাঝরা দিন
কেটেছে আঁধার রাত।

আঙ্গুলের ফাঁকে আঙ্গুল জড়িয়ে
ঠোঁটের ফাঁকেতে ঠোঁট ,
বাঁচবো জানি ,ওখানেই আয়ু
ওখানেই যত সুখ।

রাগে অনুরাগে বুকের ভিতর
রই যত কান পেতে
নামটি আমার শুনেছি কেবল
কম্পনেরই রথে।

এত ভালোবাসা পাবো কোথা বল
হারাই যদি হেলায়।
পূজিবো তোমায় যতকাল বাঁচি
ভাসাবো  প্রেমের ভেলায়। 

মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫

অপার্থিবের মাঝি









চাইতে পারো  চাঁদ কিংবা মস্ত বড় আকাশ
দিতে পারি ফুসফুসের ওই একটুখানি বাতাস।

চাইতে পারো  হারিয়ে যেতে গান কিংবা সুরে ,
আমি কেবল শব্দ দেবো হৃৎপিণ্ড ফুঁড়ে। 

চাইতে পারো শান্ত দীঘির কাজলকালো জল 
বলে দিচ্ছি দিতে পারি অশ্রু ছলছল। 

যখন আমি রাখতে পারি জীবনটাকেই বাজী ,
চাইছো কেনো হতে তুমি অপার্থিবের মাঝি ?

অমিমাংসিত












আশ মেটেনা দিনের শেষে
রাত্তিরে পালাই ,
ঘরের মাঝে ঠাঁই মেলেনা
মনেই থাকি তাই।

সন্ধ্যে যখন নামতে থাকে
হালকা হালকা পায় ,
যাবার বেলার প্রহর গুনি
স্তব্ধ নীরবতায়।

লুকিয়ে পেতে আর চায়না
তৃষিত এই মন
বলিস যদি ভাঙ্গবো শেকল
এক্ষুনি এখন।

শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০১৫

ইচ্ছে করেই

তোমাকে সবসময় আমি কষ্ট দিই
ইচ্ছে করেই
একদম ইচ্ছে করেই ,
যেন অন্তত একবার তুমি বিচ্ছিন্ন হও।

শতবার বলি ভালবাসিনা
অপেক্ষায় থাকিনা তোমার
নেচে ওঠেনা হৃদয় তোমার ডাকে।
ইচ্ছে করেই বলি
একদম ইচ্ছে করেই
যেন অন্তত একবার তুমি বিচ্ছিন্ন হও।


আর প্রতিদিন প্রানবায়ূ ভরে নিয়ে
একটা বেলুন সঁপে দিই  হাতে তোমার
ইচ্ছে করেই
একদম ইচ্ছে করেই ,
যেন এই পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হতে যাওয়া আমার নিঃশ্বাসে
তোমার আয়ূর চেয়ে আর কটা দিন বেশী বাঁচো তুমি।
আর কটা দিন আমি বেঁচে থাকি প্রিয় অনুভূতিতে তোমার।

রুদ্মিলার চিঠি ১৬




                                   




আমি সবাইকে এখনো বলি ,তুমি হারিয়ে গেছো হঠাত অকারণে অথবা কোনো অজানা অভিমানে। মৃত্যু শব্দটা ঠিক তোমার সঙ্গে যায়না। মৃত্যু তে তো অনেক নিয়ম কানুন আছে। চোখের সামনে অথবা চোখের বাইরে একটা মানুষের চলে যাবার দৃশ্য আছে। ধীরে ধীরে অথবা অকস্মাত প্রাণহীন হতে যাওয়া মানুষটাকে শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ধরে রাখার চেষ্টার  ব্যাপার আছে।তারপর আছে আর না পেরে হেরে যাবার অসহ্য বেদনার চিত্র।

এই নিয়মগুলোর ভেতর দিয়ে যেতে হয়। নয়তো বোঝা যায়না মৃত্যু কি। তোমার লাশ নেই চোখের সামনে। তোমার নিস্তেজ শরীরটাকে অনেক অনেক যত্নে চিরতরে শুইয়ে দেয়া নেই। তোমার গন্ধভরা ওই বাদামী মাটিতে একটা ছোট কাঁঠালচাঁপার গাছ লাগানোর ব্যস্ততা নেই , তবে এটা কিছু মৃত্যু হলো ?

তুমি ছিলে একজন পবিত্র তীর্থযাত্রী।তুমি প্রার্থনা করতে গিয়েছিলে  দূরে অনেক দূরে। সবাই বলে যেখানে গেলে নাকি সৃষ্টিকর্তার কাছাকাছি হওয়া যায়। তুমি সেখানে গিয়েছিলে। আমাদের সকলের মঙ্গল প্রার্থনায় তুমি যাত্রা করেছিলে ওই দূর দূর দেশটাতে।

আশ্চর্য্য তারপর তুমি ঐ দেশটার হয়ে গেলে ?ঐ মাটির হয়ে গেলে ?

কত অদ্ভূত কথা মানুষের। তুমি নাকি  ওদের দেশের মাটি দিয়ে গড়া মানুষ। তাই ঐ মাটি তোমায় নিয়ে গেছে। এই অদ্ভূত কথাগুলো এখন বিশ্বাস করতে হয়। বিশ্বাস করতে হয় তুমি মরে গেছো।চঞ্চলা তোমার শরীরটাও নাকি ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়েছে।যত্নের আতিশয্যে  তোমার শরীর টাও নাকি শুইয়ে দেয়া হয়েছে পবিত্র কাবা ঘরের খুব কাছের মাটিতে।

অদ্ভূত মা ,ভারী অদ্ভূত। সারাজীবন নিয়মের মাঝে থেকে এ কেমন অজানা অনিয়মে আমাকে বন্দী করে গেলে বলতো ? 

শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

না বলা কথা ১০








কোন দেশে কবে পাওয়া যেতো
একসাথে এতোটা স্বপ্ন ?
কোন  বকুলের গন্ধে
তোর্ চেয়ে বেশি মাতাল সুবাস ?
একবার বলনা 
কতটা ভালবাসা  জমা দিলে পরে
তোর্ বুকে হবে 
আমৃত্যু নিবাস ?
আচ্ছা বলতো ? 
ঠিক কতোটা জল সমুদ্রের ?
কতোটা থাকে আকাশে ?
কতোটা অশ্রু ঝরলে পরে
আশ্রয় হবে নিশ্বাসে ?
কতোটা পথ হাঁটলে তবে  
পথের হবে শেষ ?
কত আগুন জ্বালিয়ে শেষে 
বলবো : আছি ,বেশ? 

না বলা কথা ৯










আমার পরান যারে  চায়
সেতো কেবলই হারায়  ,
পরানের গহীন ভিতর
কেবলই তৃষ্ণা বাড়ায় ।

আমি যারে চাই
তারেতো হয়না বোঝাতে
ভোরে ,দুপুরে অথবা মাঝরাতে।
সে আমায় আপনি বোঝে। 

আমি যারে চাই
তারেতো পাইনা দেখিতে
ছুঁয়ে ,চুমিয়ে অথবা দৃষ্টি দিয়ে !
সে আমার হৃদয়ে আপনি রিনিঝিনি বাজে।

থাকা যায়
বেশ থাকা যায় ,
না ছুঁয়ে অথবা ছোঁয়ার বাহিরে ,
আমার পরান দিয়ে আমি জানি
জীবনের স্বাদ আছে হৃদয়ের গভীরে।

থাকা যায়
বেশ ভালো থাকা যায়
স্বপ্ন আর কল্পনার মাঝারে ,
আমার পরান দিয়ে আমি জানি
জীবনের স্পর্শ আছে স্পর্শের বাহিরে। 

না বলা কথা ৮






আরেকটু থাকনা।
বুঝিনা এসছিস অব্দি
কেবল বাড়ীর জিনিসপত্র দেখছিস।
আশ্চর্য্য ওটা রুমাল।
ওটায় কি দেখছিস ?


তোর ঠোঁটের পরে এই যে শিশির জমা
মুছিস তো এই রুমালে ?
ওই হলো।
তোর আর কিছু না বুঝলেও চলবে।


এত্ত তাড়া কিসের তোর ?
এসেই যাই যাই ?
কেন এলি বলতো ?


গন্ধ নিতে।
দেখতে নয়
দেখে আশ মেটেনা
চোখের জ্বালা বাড়ে।
যাইরে ,
নইলে লোভে পড়বো।
চোখ আমার আগেই গেছে
শ্বাস গেলে আর বাঁচবোনারে।  

না বলা কথা ৭






হাতটা একটু দিবি ?

কেনো ?

দে না। একটা জিনিস পাবি।

আমি কি ছোট্ট খুকি এখনও ?

ওমা ,চশমা পড়েছিস বলেকি অনেক বড় হয়ে গেছিস ?

না ,আগে বল কি দিবি ?
জানিতো একটা ফুল
নয়তো একটা সবুজ পেন্সিল ?

দিবি তুই হাতটা ?

কি হলোরে ?
কিচ্ছু নেই বলে মন খারাপ হলো ?
বুদ্ধু ,
ভালো করে দেখনা।
ওই হাতের মুঠোয় কত্ত বড় একটা মন।
এক সমুদ্র প্রেম
আর
অসহ্য নির্ঘুম রাতের কষ্ট লুকোনো
একটা নীল আকাশ।
একটু ভালো করে দেখ। 

না বলা কথা ৬








জানিস ?
কাউকে কখনো শেকড় থেকে উপড়ে ফেলতে নেই।

''হুম ,মানুষও গাছের মতন
বড্ড ভালোবাসায় শেকড় ছড়ায়। "

আর ওখান থেকে উপড়ে টেনে নিলেই হয়তো মৃত্যু
নয়তো বড় কষ্টের বেঁচে থাকা।

"ধীরে ধীরে শুকিয়ে অজানা রূপান্তর
অশত্থের হয়ে ওঠা লতানো কোনো মানিপ্ল্যান্ট।''

সমস্ত অহংকার ছুঁড়ে ফেলে যেন জানতে পারা
আমার কেউ নেই

''কোথাও কেউ নেই আমার।''

না বলা কথা ৪ এবং ৫









সহজ মৃত্যু নয় বলে
দিয়েছিলাম নীল অপরাজিতার গাছ
লতানো সবুজ চারাটা
কেবলই যেন একটা কিছু আশ্রয়ের অপেক্ষায় ,
একটু আদর পেলেই উজাড় করে দেবে সমস্ত সবুজ।
ভালোবেসেছিলি ওকে ?
আদর দিয়েছিলি ?
বাঁচিয়ে রেখেছিস তো ?
ছানাপোনা কিছু হলো গাছটার ?
নীল নীলাম্বরী সেজে এখনও কি জানতে চাস ওর কাছে ?

"কার কষ্ট বুকে নিয়ে এত অদ্ভুত নীল ফুল হলি  তুই  ?"








একটা ছোট নীল প্রজাপতি রোজ আসতো ওই গাছটায় ,
ভারী জমতো ওদের খেলা।
প্রজাপতিটা ঠিক যেখানেই স্পর্শ করে দিতো ?
সেখানেই ফুটে উঠতো একটা করে নীল অপরাজিতা।
আর ওর না আসাটা বড্ড অস্থির করে তুলতো গাছটাকে।
আমি দেখতাম
খুব বুঝতে পেতাম ,
অপরাজিতা আর তো আমার নয়।
তাই একদিন পিছু নিলাম প্রজাপতিটার
দূর বহুদূর হারিয়ে গেলাম
হলুদ সর্ষে মাঠে।
ওখানে এক কোণে ছোট্ট এক টুকরো জমি
তোর অপরাজিতা এখন ওখানেই আছে
নীল প্রজাপতিটার সাথে। 

না বলা কথা ৩




অবস্থা বেশ খারাপ করেছিস কিন্তু।
চোখেতো প্রায় দেখিস না কিছুই।
ডাক্তার দেখাসনা কেনো ?
এমনি করেই ভুগবি ?
আর কষ্ট দিবি আমাকে ?
ক'টা "বাজে বলতো ?
অনেকটা রাত হয়ে গেলো।
তোকেতো বাড়ি পৌঁছে দিতে হবে।
এমন করে ছাড়া যায় নাকি একা ?


তোর হড়বড় কথা বলার অভ্যেসটা আজো রয়ে গেছে
যেদিন প্রথম একটু ঝাপসা দেখেছিলাম
সেই কোন কৈশোরে ,
তুই নারকেল পাতার কেমন একখানা
চশমা গড়ে দিয়ে হাসতে হাসতে বলেছিলি : এটা পড় ,
তোর চোখ একদম ঠিক হয়ে যাবে।
তারপর আর জানিনা।
জানিনা কোথায় হারালো দিনগুলো আমার ,
কোথায় তুই ?
জানিনা কিছুই।
শুধু জানি ওই পাতা দিয়ে একটা ঘড়িও হয়েছিলো।
সেই থেকে সময় আমার ওখানেই থমকে গেছে।

না বলা কথা ২







আমার খুব ভুলে যাওয়া অসুখ ছিলো। 
ভালোই ছিলো। 
ব্যথা ভুলে থাকা যেতো। 
কিছু মনে পড়েনা আমার 
কিচ্ছুনা। 
কতটা অপরূপা হলে 
একশো জোড়া অপলক চোখের চাহনী বিদ্ধ করে 
আর কুঁচকে তোলে ধনুক ভ্রু 
মনে পড়েনা। 
শুধু জানি 
এরপর আর আয়না দেখিনি কখনো। 
একটা পাগল ছিলো ,
যার চোখের কালো মণিতে 
আমার সর্বস্ব দেখে নিতাম। 

না বলা কথা ১







তুই একটুও বদলাসনি ,
এখনও  আগের মতন
অসহ্য সুন্দর।
আচ্ছা ,এখনও কি তুই হেঁটে যাবার রাস্তাটায়
একশো জোড়া অপলক চোখ চেয়ে থাকে ?
ফুলগুলো সব ভীষণ লজ্জা পেয়ে ঝরে পড়ে ?
পাতাগুলো নুয়ে গিয়ে ইউক্যালিপ্টাসের মতন ক্ষমা চায় ?
এখনও আকাশ ফুঁড়ে সূর্যটা হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরে নাকি ?
তোকে পোড়াতে চায় শুধু ?
আর
আর তোর্ মোমের মতন সাদা নরম গায়ের থেকে ঝরে পড়ে শিশির বিন্দু ?
অস্থির হয়ে উঠিস তুই একটু হাওয়ার অপেক্ষায় ?
আর আমি ঠিক তখনই তোর্ জন্য
মাতাল ,পাগলা হাওয়া হয়ে উঠি ?
মনে পড়ে ?

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

স্বপ্নবিলাস









তোমায় আঁকার চেষ্টা করেছি বারেবার
তুমি কেবল লেখা হয়ে আসো।
রং তুলিতে বাঁধতে চেয়েছি দিবারাত্রি হাজারবার
তুমি কেবল মনের খাতায় ছবি হয়েই ভাসো।


হয়তো তুমি কবিতা সুনীলের
নয়তো রবিঠাকুরের গল্প ,
উপন্যাসের পাতায় থাকো
কঠিন কোনো কারুকল্প।

শিল্পী আমি ব্যর্থ বারেবার
তবু ধরার চেষ্টা আবার আবার
মেয়ে ,
তুমি কি আমার পৃথিবীর কেউ ?
নাকি কেবলই কল্পনাতেই হারাবার ?

চন্দ্রাবতী









চাঁদকে ছোঁয়ার স্বপ্ন আমার
কি করে যে ছুঁই ?
আকাশ ছুঁতে পারিনাতো
মাটির বুকেই শুই।

শ্যামল ছায়ায় হঠাৎ শুনি
মিষ্টি নূপুর বাজে
আসছে ছুটে রাজকন্যা
মধুর রূপে সেজে।

ভাবছি আমি চন্দ্রাবতী
তোকেই আমার চাই ,
তোকে নিয়েই করবো বড়াই
চাঁদ দেখবে তাই।

হিংসুটে চাঁদ জ্বালবে আগুন
রুপোর রঙের বেশে
জোস্না গলে পড়বে সে যে
মোদের বুকে এসে।

একটি তারা








পথের মাঝেই পথকে খুঁজি
পথেই খুঁজি সুখ
পথের কোণে থমকে থাকে
একটি তারার মুখ।

পথ চলেছে পথের মতন
অজানা কোন গাঁয়
আকাশ দেখি খুব মিশেছে
সবুজ সীমানায়।

একটি তারা হঠাত খসে
যেইনা পথে এসে
পথ বলছে আমি নেবো
অনেক ভালোবেসে।

হাঁটছি আমি নাম না জানা
অজানা ওই পথে
পাই যদি সেই তারার আলো
অন্ধকারের রথে।

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

পূজো













এই রৌদ এই বৃষ্টি
একি অনাসৃষ্টি
ভাল্লাগেনা কিচ্ছু
মন টানছে পিছু
একবারটি আয়
কাশবনেতে  যাই
তুলোর মেঘে ছেয়ে
আসছে দেবী ধেয়ে
শিউলী বরণ গায়
আলতাভরা পায়।

এই রৌদ এই বৃষ্টি
সব সুখেরই সৃষ্টি
ভাল্লাগছে সব
পাখির কলোরব
উল্লাসেতে তাই
পূজোর ভীড়ে যাই
তুলোর মেঘে ছেয়ে
আসলো দেবী ধেয়ে
শিউলিবরণ গায়
আলতাভরা পায়।

সমর্পণ










কেবল তোমার বুকের পিঞ্জরে রাখো যদি

যত্নে অথবা অবহেলায়
কষ্টে অথবা সুখের ভেলায় ,
যেমন করেই রাখো প্রিয়তমা
কেবল তোমার বুকের পিঞ্জরে যদি রাখো
স্পষ্ট বলে দিচ্ছি
আমি নির্বাক মেনে নেবো
আজীবন কারাদন্ডাবাস। 

মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৫

প্রিয়তমা








আমার কথা ভেবে
কেবল আমার কথা ভেবে
থেকে যাও উষ্ণতায়।
থেকে যাও রোদ্দুরের ক্লান্তিহীন ছটায় ,
সূর্যটাকে মিনতি করেছি
আজকে  হঠাৎ দুপুরবেলায় ,
ধার চেয়েছি একটু সময়
থাকুক বেশী আকাশ খানায় ,
আমার কথা ভেবে
কেবল আমার জন্যে
থেকে যাও ওই উষ্ণতায়
অসহ্য ঘামে
ভিজে উঠুক শাড়িটা তোমার
কেবল আমার কথা ভেবে আজ থেকে যাও
কিছুটা বেশি তাপে
ভিজুক শরীর
আর
ঘর্মাক্ত তোমার অস্থির পাগল সুবাসে
আমি আরেকবার
আর একবার সমর্পিত হই প্রিয়তমা।
 

শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০১৫

প্রেম









আমার কিছু স্বপ্ন আছে
উড়তে থাক,
কষ্ট আছে কঠিন কালো
পুড়তে থাক,
হাতের মুঠোয় প্রেম ধরেছি
ছাড়বোনা
যতই তুমি চাও পালাতে
পারবেনা।

আমার রাজপুত্র









ক্লান্তিময় সারাদিনের শেষে
একটুখানি জোসনা রাত
বৃষ্টিভেজা কখনো
কখনো বা কুয়াশায় ধোঁয়াটে রাস্তায়
যানজটের তীব্রতায়
সিগনালে
অথবা ঘুপচি চায়ের দোকানটায়
ধরে নাও এই যান্ত্রিক শহরের
একটা কোনো সবুজ স্নিগ্ধতায়
কিছুটা জলের স্পর্শে থাকা
অল্প কালচে আকাশের নীচটায় ,
দাঁড়িয়ে থাকো যখন অপেক্ষায়
শুধু একমাত্র আমার অপেক্ষায় ?
মনে হয়
খুব তীব্রভাবে মনে হয়
এইতো আমি রাজকন্যা।
তোমার বুকের ঐ জমিন ছাড়া
আমার আর কোনো রাজ্য চাইনা।

বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৫

রুদ্মিলার চিঠি ১৫







ভুলে যাচ্ছি কি না জানিনা কেবল মনে হচ্ছে মুখটা যেন ধীরে ধীরে অতি সন্তর্পনে অস্পষ্ট হয়ে আসছে। এই কথাটা কি আজীবন সত্যি যে চোখের আড়াল মানেই অন্তরের আড়াল ?কিন্তু তুমিতো আমার মনের আড়াল হওনি এখনো ?আমি তোমার মুখটা আজকাল কেমন যেন দেখতে পাইনা। কিন্তু তোমার গন্ধটা বড্ড তীব্র হয়ে এসে ছুঁয়ে দেয় ঘ্রাণেন্দ্রীয়। আচ্ছা সবকিছু হারিয়ে যায় কিন্তু সুবাস কি বল আমৃত্যু বাতাসেই ভেসে বেড়ায় ?আর আকাঙ্খাটা ?ঐ যে তোমায় ছোঁবার ?একটুখানি স্পর্শ করবার ? ঐটুকুও কেমন যেন জীবন্ত। তবে কি তুমি বেঁচে থাকবে ওখানেই। আমার চাওয়ার মাঝে ?আমার তীব্র প্রতীক্ষার মাঝে ?আমার আকাঙ্খার মাঝে ?

আচ্ছা ,তবে প্রতীক্ষাটা কিসের ?তোমার স্মৃতিতে প্রতিনিয়ত যত্নের আবরণ দেয়া ?বাঁচিয়ে রাখা এভাবেই ?তুমিতো আসবেনা ফিরে ?আসবে কি ?
বড্ড এলোমেলো হচ্ছে লেখাটা। বৃষ্টি বড় কষ্ট দেয় আমায়। বেশ ক 'দিন হলো বৃষ্টির কোনো থামাথামি নেই। অবিরাম ঝরছেতো ঝরছেই। আমার সবকিছু এলোমেলো লাগছে। আমি চেষ্টা করছি এবার শ্রাবণে আর ভাববোনা ,ভাববোনা তোমার কথা। কিন্তু তোমার কি একটাই কাজ ছিলো অদ্ভুত সব স্মৃতিগুলো তৈরী করে আমার ভেতর একটা তুমিকে আশ্রয় দেয়া ?
মা ,
তোমার মনে পড়ে বৃষ্টির জল নিয়ে আমাদের ভুলতে না পারার মতন স্মৃতি কোনটা ?
তোমার ঐ সুন্দর সাদা দেশে কি বাদামী রঙের চা পাওয়া যায় ?ওখানেও কি বৃষ্টি হয় ?অঝোরে বৃষ্টি হলে তুমি কি এক কাপ চা নিয়ে কোথাও বস ?তোমার কি মনে পড়ে শ্রাবণে আমাদের একমাত্র খেলা ?বৃষ্টির জল জমিয়ে স্নান আর বৃষ্টি হলেই বানানো এক কাপ অদ্ভুত চা ?
তোমার মনে পড়ে মা ?
নিশ্চয়ই মনে পড়েনা।
পড়লে তুমি ঠিক আসতে।অন্তত এই অঝোর শ্রাবণে ?
দুষ্টুমী ভরা এক কাপ বৃষ্টি জলের চা খেতে তুমি নিশ্চয়ই আসতে মা ?

শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫

মায়াবতী


কত রকম মানুষ তার ছায়ায় এসে বসে। কত গল্প ,কত ঝগড়া ,কত মান -অভিমান ,হাসি, প্রেম, ভালবাসা ,কত ইতিহাস। কিন্তু বড় অদ্ভুত ভাবে বট গাছটা প্রেমে পড়ে গেলো সেই মানুষ'টার।মাঠের মাঝখানটায় ঝুম বৃষ্টিতে ভিজছিলো যখন, তখনই এসেছিলো মানুষটা। না, না। আশ্রয় নিতে নয়। ছায়াবৃক্ষের বৃষ্টিস্নান দেখতে । ছায়ার খোঁজে নয়। বৃষ্টিভেজা সবুজ পাতা দেখতে।
কখনো কিছু জল নিয়ে আসে। ভিজিয়ে দেয় তার  শুকনো শেকড়।কথা বলেনা। নীরব ভালবাসে শুধু। আর ভাবে এই ভালবাসায় কিছুই কি যায় আসে মায়াবতীর ?
বড্ড অভিমান হয় তার।
আচ্ছা ,রাগ ,দুঃখ অভিমান  ছাড়া মানুষের  জীবন হয়না তাইনা ?আমি তোমাকেই ভালবাসি জানো প্রিয় মানুষ ?তুমিই আমার মুক্তি।
মানুষটা  বড় অস্থির হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে : তবে তোমার  কোলে এত মানুষ কে কেনো আশ্রয় দাও ?
নীরব গাছটা চোখের জলটুকু ও ফেলে দেখাতে পারেনা।বলতে পারেনা আমিও ক্লান্ত।আমারো ইচ্ছে করে বাঁচার মতন বাঁচতে ।বৃষ্টিভেজা ভোরে সাগরের জোয়ার দেখতে। 

শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০১৫

তোমার হাসিটা





তোমার হাসিটাকে বরাবর মোনালিসার ওই অদ্ভুত হাসি ভাবতে ভাবতে
অজস্র দিন রাত হয়ে গেছে।
মোনালিসার হাসিটার অর্থ খুঁজে বার করতে করতে
অজস্র রাত হয়ে গেছে দিন ।
অবশেষে ফলাফল বেরুলো গবেষণার
আসলে ওই হাসি দেখে ফেলবার বিশেষ যাতনা।
আমি ছুঁয়েছি
আমি দেখেছি
ভালো ও বেসেছি
কিন্তু আসলটা আমার নয়।

 

বুধবার, ১ জুলাই, ২০১৫

প্রাণ দিয়ে যাও




একটু দাঁড়াও ,
এখানে নয় ,
ঠিক ওই অশ্বত্থের নীচে।
ছড়িয়ে দাও প্রশ্বাস তোমার
চেয়ে দেখো
তুমিও জীবন দিতে পারো
তুমিও কারোর জন্য
বেঁচে থাকার অন্যতম উপাদান
আমাকে প্রতি মুহুর্তে হত্যা করে
যতই জমাও প্রাণরস তোমার ,
তুমিও কারোর জন্য
স্বপ্ন দেখার একমাত্র আধার।
একটু দাঁড়াও ,
সত্যি ওখানে একটু দাঁড়াও ,
ওই অশ্বথের নীচে।

সোমবার, ২২ জুন, ২০১৫

ছুটির শহর




ঝরাপাতায় আজো তোমার পায়ের ছাপ
সাদা ফুল গুলো দেখে উচ্ছ্বাসে চিৎকার করেছিলে
এখনো প্রতিধ্বনি হয়ে ওঠে বাতাসে
বাতাস ভোলেনি তোমায়
আমি কি করে ভুলি বলতো ?

হঠাত মেঘের ডাকে থমকে সেদিন 
দুচোখ জুড়ে,প্রশ্ন নিয়ে,
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ,বললে হেসে ,
বৃষ্টি কি এলো তবে ?
এই অবেলায় ,এই অসময়ে ?

আমি বললাম ,
এখানে হঠাত বৃষ্টি নামে
মিষ্টি রোদে আকাশ ঝলমল
এখানে সাগর বুকের ভিতর
ঢেউ এরা কথা কয়  কলকল।
এখানে রঙিন ফুলের মাঠে
প্রজাপতি আসে নাচি
এখানে সবুজ গাছের ফাঁকে
পাখিদের কিচিমিচি।
এখানে জোছনা নয়তো  চাঁদের
তারাদের মাতামাতি
কুচকুচে কালো আঁধার রাতে
হাজার আলোর বাতি।
থাকবে কি গো থাকবে তুমি
মায়ার এই শহরে ?
রাজকন্যা হারিয়ে যেওনা
অচেনা ওই ভীড়ে।


তুমি আমার আর্তনাদ শোনোনি
অদ্ভুত হাসলে শুধু
হারিয়ে গেলে তারপর
ধীরে চুপে
অনেক দূরে ,
আমি বুঝতেই পাইনি
এ  শহরে তুমি শুধু বেড়াতেই  আসো
আমি বুঝতেই পাইনি
এ তোমার ছুটির শহর।



বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০১৫

পাখিপৃথিবী



জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আমার প্রথম কাব্যগ্রন্হ। পাখিপৃথিবী। পাওয়া যাচ্ছে দেশের সর্বত্র।

মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০১৫

ছায়া ৩



হয়তো আজো সমূখ নই 
তোমার ছায়াই  সই
হয়তো এখন একসাথে নই
পৃথক কি আর হই?
আমরা না হয় নাইবা মিলি
মিলুক মোদের রঙ
মোদের দেখে আকাশ নাহয় 
করলো  একটু ঢং।

সোমবার, ৮ জুন, ২০১৫

ছায়া ২





ছায়ার সাথে হোক না কথা
ছায়ার সাথে খেলা
ছায়ার সাথেই চলতি পথে হাজার কথা বলা
তোমায় আমি নাইবা পেলেম 
জীবনসাথী করে 
মাঝেমাঝে ছায়ায় তুমি
দিও দুহাত ভরে।

ছায়া ১








সময়টা খুব বেশি সময় নিচ্ছে আজকাল।
সূর্য টা ঠিক যতটা হেলে পড়লে মিলে  যাবার কথা দুটো ছায়ার
তা হয়নি ,
আবার কখনো দম আটকানো অন্ধকারে একটা ছোট আলোর অপেক্ষা ,

তুমি আলো হয়ে এসো
অথবা আঁধার
আমি শুধু চাই
দুটো ছায়ার অদৃশ্য মিলন
আলো
অথবা অন্ধকারে।
আমি শুধু চাই 
দুটো ছায়ার আমৃত্যু বসবাস।

শনিবার, ৬ জুন, ২০১৫

পাগলামী







তোর পাগলামীগুলো ছাড়বি কবে?
তুই ভালবাসা বন্ধ করবি যবে।
ভালবাসা আমি বন্ধ করবো কবে ?
আমি পাগলামীগুলো ছাড়বো যবে।

পাগল রে তুই এমনই থাকিস
সারাজীবন ধরেই রাখিস
হাতের মুঠোয় নাইবা পেলি
চোখের তারায় বাঁচিয়ে রাখিস।

ওই চোখেতে স্পষ্ট ছায়া
ওই বুকেতে আমার শ্বাস
যতই দুরে যাসনা কেনো
গন্ধ সাথে নিয়েই যাস।

মানুষ তোকে নাইবা পেলাম
পুতুল বৌটা হয়েই থাক
বুকপকেটে যতন ভরে
গন্ধ আমার নিয়েই থাক।

মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০১৫

সবুজ মেয়ে





কোনো একদিন হঠাত
দেখা হলে মাঝরাস্তায়
থেকে যেও তুমি মেয়ে
সবুজ রঙের শাড়িটায়।

টিয়ের বরণ হৃদয়
কোমল নরম ঘাসে
পাতার সজীব এনে
দেখা দিও উল্লাসে।

হাতে তোমার বৃক্ষ ছায়া
থাকবে যতদিন ,
ভুল হবেনা মেয়ে তোমায়
চিনতে ততদিন।

পেছন ফেলে ঝরাপাতার
মৃত গাছের সারি
তোমার ছায়ায় চোখটি পেতে
যাবো সবুজ বাড়ী। 

শুক্রবার, ২৯ মে, ২০১৫

চিত্রা




চিত্রা ,
বড় অদ্ভুতভাবে নিয়ন্ত্রণ কর তুমি আমায় 
নির্বাক আমার কেবলই দেখার পালা ,
তুমি ছুঁয়ে দিলে সকাল হয় 
ছুঁয়ে দিলে রাত 
অথচ আসোনাতো কখনো 
রক্তমাংসের হয়ে !
আমার হও ইথারে ইথারে 
গভীর রাতে অথবা ভোরে। 
চতুর্পাশে কেবল একটাই ছবি 
তোমার  বুকে আমি 
কখনো আমার বুকে তোমার শান্ত পথচলা। 
বড় অদ্ভূতভাবে নিয়ন্ত্রণ কর তুমি আমায়। 
চিত্রা ,
তুমিকি আমারই আঁকা ছবি ?
নাকি প্রত্যহ আমাকেই এঁকে যাও 
এঁকে যাও আমার জীবন 
কখনো যত্নে 
কখনো অবহেলায় ?

তোমায় নিয়ে পণ




তোমায় নিয়ে পণ করবো ?
ছাড়বোনা  ওই হাত ?
কি ছুঁয়ে বলবো বল ?
আঁধার কালো রাত ?
ফুল ছোঁব কি ?
জল ছোঁব?
পাখি নয়তো গাছ ?
মিথ্যে ওসব 
স্বল্প আয়ু 
নেইতো ছুঁয়ে কাজ। 
চোখে তোমার আমার ছায়া 
ওকেই ছুঁয়ে দিই ?
জমবেনা জল ওই চোখেতে 
মৃত্যু অবধি। 


ভালোবাসাটা এমন কেনো





ভালোবাসাটা কেমন যেনো 
ভালোবাসাটা এমন কেনো ?
একসাথে নাই 
তোর সাথে নাই 
আছে তবু ঠাঁই 
চোখের ভিতরটায়। 

ভালোবাসাটা কেমন যেনো 
ভালোবাসাটা এমন কেনো ?
এক বিছানায়
তোর সাথে নাই 
আছে তবু ঠাঁই 
বুকের ভিতরটায়। 

ভালোবাসাটা কেমন যেনো 
ভালোবাসাটা এমন কেনো ?
অভিমানী ছায়ায় ছায়ায় 
জড়িয়ে থাকিস কিসের মায়ায় 
কাছেই আছিস 
তবু কাছে নাই 
খুব ছুঁতে চাই 
তবু  যে হারাই।

ভালোবাসাটা এমন কেনো ?
ভালোবাসাটা কেমন যেনো !

মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০১৫

ভালবাসা










অস্থির তারাটা হঠাত ছুটে এলো পৃথিবীতে
বুঝি বহু পরে জানতে পেরেছে
আকাশ তার জন্যে নয়।
বুঝিবা সবুজ পাহাড়ের কোলে নীলাভ আকাশ দেখে ভেবেছিলো
কাছেইতো ;
গাছ ছিলো কি সে কখনো  ,
একটা কোনো উঁচু ইউকালিপ্টাস ?
বড় যত্নে আকাশ ছুঁতে গিয়ে
তারাদের সাথে বন্ধু হয়ে
প্রেম কিনেছিলো ভালবাসা দিয়ে।
তবু কেনো ছুটে এলো পৃথিবীতে একলা রাতে ?
অদ্ভুত অভিমানে
হঠাত জেনে
আকাশ তার জন্যে নয় ,
আকাশ কখনো তার ছিলোনা।

রবিবার, ২৪ মে, ২০১৫

রুদ্মিলার চিঠি ১২













অদ্ভুত অন্ধকার চারপাশে। অন্ধকার এতোটা  তীব্র হয় আমি দেখিনি আগে। এতটুকু ছিটেফোঁটা আলো নেই যার ওপর নির্ভর করে চোখ খুঁজে পাবে কিছুটা আশ্রয়। বড় বেশি ক্লান্ত হয়ে ওঠে চোখ আলো খুঁজতে খুঁজতে। অন্তত একটা অবয়ব কে দেখার চেষ্টা। আর কিছু নয়। ওই অদ্ভুত আঁধারে বাবা বলে চলেছে তোমার গল্প।তোমায় হারিয়ে ফেলার গল্প। মজার ব্যাপার হলো গল্পটা আমার প্রায় শতবার শোনা হয়ে গেছে। কিন্তু প্রতিবারই একটা জায়গায় এসে আমি আর মনোযোগ রাখতে পারিনা। খুব আশ্চর্য্যজনকভাবে আমি ওই একটা জায়গা থেকেই নিজের মতন করে অন্য আরেকটা গল্প তৈরী করতে থাকি।

গল্পের অর্ধেক টায় চলে আসে তোমায় হাসপাতালে নেয়ার কথা।আমিও বাবার হাত ধরে ঢুকে যাই হাসপাতালে।যে যন্ত্র টাতে বারবার ভেসে উঠছে তোমার একটু একটু করে চলে যাওয়া ,একটা একটা করে শেষ নিঃশ্বাস টা নিয়ে নেবার যে যন্ত্র টা? জানো ?আমি না ওখানে যাই? তারপর চুপটি করে যন্ত্রটা  উল্টে দি।মুহুর্তেই ভেসে ওঠে তোমার মৃদু হাসিমুখ। এইতো ,এইতো তুমি শ্বাস নিচ্ছ। আশ্চর্য্য! ঘড়িটাও পাল্টে যায় খুব সন্তর্পনে। ঘন্টার কাঁটা টা ছিলো ৩ টায়।  রাত ৩টা থেকে সকাল ৯ টা হয়ে গেলোতো।এইতো দেখোনা সকালের তীব্র আলো। ওই আলোতে কখনো যমদূত আসতে পারে?কক্ষনো পারেনা। দেখোনা পর্দাটা সরিয়ে। দেখো আমরা হাত ধরাধরি করে স্কুল যাচ্ছি। এতো দৌঁড়ঝাপ ,তুমিকি চিনতে পারছো মা? কোন শিশুটা তোমার রুদ্মিলা ?কৃষ্ণচুড়ার আর সোনালুর হাট বসেছে আজ পাহাড়ের ওই স্কুল টাতে। তুমি খুলে দাও চুল ছোট্টবেলার মতন। তোমার মনে  আছে মা ,আজ তুমি স্নানের পরে চুলটা শুকনোর সময়টুকুও পাওনি। খুলে দাও চুল,উড়িয়ে দাও হাওয়ায়।তোমার ক্লান্ত মুখটা আমি আরেকবার দেখি।আমায় পিছু ফিরে চাইতে দাও মা। একবার। শুধু একবার তোমার ক্লান্ত মুখটা আমাকে কাঁদাক। আমি অস্থির হই। ছুটে এসে তোমায় কিছু বিশ্রাম দি। তোমায় চুমু খাই।একবার শুধু একবার ফিরিয়ে দাও সময়।

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০১৫

অন্যরকম আলো









অপেক্ষার অবসান হবে ,

কষ্টগুলো খুঁজে পাবে আর কোনো পথ ,
বিষন্ন বিকেল গড়াবে সোনালী সন্ধ্যায় ,
শুধু চলে যাবে জীবনের কিছুটা সময় ,
ভর করে প্রজাপতির ডানায় ,
ফিরবেনা আর ,
ফিরবেনা সেকেন্ড
ফিরবেনা মিনিট
ফিরবেনা ঘন্টা ,
ফিরবেনা  বিষন্ন মুখ
হয়তো অন্যরকম আলোয়
ভুলে যাবো
বড় কষ্টে কেটেছিলো সময়।


বুধবার, ১৩ মে, ২০১৫

চড়ুই




৩ টা চড়ুই
খাচ্ছে বড়ই
দিচ্ছেনাতো ছুট
আরেকটা কি
খাচ্ছে বাদাম ?
কুটকুট কুটকুট ?

শুক্রবার, ১ মে, ২০১৫

ভালবাসি তোমায়








তোমায় নিয়ে পথ চলবার সাহস দাওনি ,
তোমায় ছাড়া পথ হারাবার শক্তি দাও।

সাগর পাড়ে চিত্কার করে বলতে দাওনি ,ভালবাসি
নিশীথ রাতে ঝড়ের সাথে ফিসফিসিয়ে বলতে দাও।

একলা রাতে গাছের সাথে মাখতে দাওনি পাতার গন্ধ
ফুলকুমারীর কাঁঠালচাঁপার সুবাস নাহয় মাখতে দাও।

জারুল বিছানো বেগুনী পথে নাইবা হলে চলার সাথী
লজ্জাবতীর কাঁটার ভাঁজে রক্ত পায়ে চলতে দাও।

আকাশ জুড়ে নাইবা হলো লাল গোলাপী ঘুড়ির ফাঁদ
আমায় তুমি মেঘের সাথে একলা একা ভিজতে দাও।

তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখার চোখ যে গেলো ,চোখ তো নেই
জাগরণে আর স্বপনে চুম্বন নেই, চুম্বন নেই,
এবার নাহয় অন্ধকারেই তোমায় স্পর্শ করতে দাও।

বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৫

নদী সাজে




নদীটা কেবলই অপেক্ষায় থাকে
একটা সোনালী বিকেলবেলার ,
কত তার আয়োজন
মাঝিদের করে বারণ ,
বলে :"ওরে ,এখন আসিস নে মোর জলে
দেবতা আমার ভাসবেন এই কোলে। "

সকালটা যেনো গড়ায়না আর বিকেলে।
একটু জল শুষে নিতে মাছরাঙ্গা টা
যেইনা ভেজায় ঠোঁট ওই কোমল নরম বুকে
নদী বলে :"ঢেউ তুলিসনে পাখি ,
ঢেউ তুলিসনে এই জলে ,
দেবতা বুঝি আসছেন এই কোলে। "

হঠাত বাতাস বৈরী হয়ে
ঝড় তুলে যায় ভীষণ রেগে
বড় কষ্টে নদী কাঁদে ,
বলে :"ওরে ঝড় তুলিসনে ,
ঢেউ তুলিসনে এই বুকে
যতন করে, আদর ভরে সাজাই আমি কাকে ?"

এমনি করেই ঢেউ এর থেকে
ঢেউ বাঁচিয়ে থেকে
আপন মনে সাজে নদী
মধুর স্বপন এঁকে

উষ্ণ ,প্রখর সূর্য কখন
ভিজবে এসে স্নানে
ঠিক তখনই বইবে জোয়ার
নদীর শান্ত প্রাণে।



বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৫

অশ্রু




একবার ভেবেছি জলটা থামিয়ে দিই ,
অমন অমূল্য রতন
নাই যাক ঝরে অবহেলায় ,অযত্নে ,
অথবা তাকে পাঠিয়ে দিই
সেই নীলাভ ধূসর গ্রন্থীতে
জমা থাক
সে জমা থাক
ভারী কোনো মেঘের মতন।
অতঃপর কেনো মনে হলো
বর্ষণ হউক ?
উথাল পাথাল সমুদ্র হউক ,
হউক জোয়ার ,
মিশে যাক হৃদয়ের ভাঁজে
চোখ হউক শুষ্ক মরুপ্রান্তর
আর
আমি তাতে দূর্লভ ক্যাকটাস হয়ে বাঁচি
সহস্র বছর।

শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৫

আমি আরেকটা জীবন চাই










ঠিক তোমার কাছে গিয়ে বুঝলাম
আমার আরেকটা জীবন চাই
তোমার সাথে একরাত্তির
আমায় জানিয়ে দিয়ে গেলো
আমার লক্ষ রাত্তির চাই
তোমার চুলে একটু হাত
আমার হাজার ক্লান্ত দুপুর চাই
তোমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়া সন্ধ্যেবেলা 
আর ওই আধো ভেজা চুম্বন
আমায় আবার আবার জানিয়ে দিয়ে গেলো
আমি আরেকটা জীবন চাই ,
আমি আরেকটা জীবন চাই।

জীবনের খোঁজ








পাখিদের জীবন দিতে যদি
হঠাত কোনো এক ঝড়ে
অনেক বাঁচার সাধ কে আঁকড়ে ধরে
মৃত্যুর শিশির স্বাদ নিতাম।
আমি জেনেই যেতাম
বোশেখের ঝড়ে ঝরে পড়ে আমাদের জীবন।

ফুল হয়ে গেলেও ভালই হতো
ভালবাসার রেশ জড়িয়ে
একটা ছোট মৃত্যু হতো
আমি জেনেই যেতাম
একরাত্রি জীবন আমার অথবা একটি সকাল।

করে দিতে একটা কোনো গাছ
ঠিক যেখানটাতেই দাঁড়িয়ে থাকা
সেখানটাতেই মরণ
সহবাসের মৃত্যু
প্রানের সখার সাথে ?

আকাশ কর'নি তুমি এমনকি নদী ও
তবেতো মেঘের সাথে ,জলের সাথে
কেবলই বেঁচে থাকা হতো।

মানুষ আমি
ঝড়ে অথবা এক রাত্তিরে
অথবা সহমরণের সুখ নেইতো
নেইতো আকাশ কিংবা  নদীর সঙ্গে আমৃত্যু বয়ে চলা ,
জীবন দিলেই যদি অমরত্বের খোঁজও দিয়ে দিতে।

বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৫

আমি তোর্ উষ্ণতা চাই




আমি তোর্ উষ্ণতা চাই
অঝোরে ঘাম হতে চাই
কালো মেঘ দূর দেশে যা
রোদ্দুর আয় ছুঁয়ে যা।

আমি একটা জল পাখি হব
মাছরাঙ্গা নয়তো আলবাট্রস
জলের সাথে আকাশের
মিষ্টি বন্ধু করে দেবো।

আমি তোর্ উষ্ণতা পাই ,
রৌদ আজ এই ঘরটায়
আমি সত্যি পাখি হয়ে যাই
কষ্ট গুলো ভয়েতে পালায়।

শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৫

চোখের আলোয়










আকাশ ভেঙে চাঁদ নেমেছে
নাম হলো তার জোছনা 
মাটির কাছে জ্বলছে জোনাক
বইছে আলোর বন্যা।

রুপোয় রুপোয় হাত ছুঁয়েছে
গাছ পড়েছে গয়না ,
আলোয় ভরা সবখানেতে
আঁধার তবু যায়না।

নদীর জলে সাজ করছে
শামুক ,ঝিনুক,পান্না
মত্স্যনারী নাইতে এসে
দেখছে সুখে আয়না।

জোছনা আর জোনাক মিলে
আলোর মাঝে কন্যা
বললে হেসে ,চোখের আলোয়
একটু দেখা হোক না ?


শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৫

আমি আর ঘাসফড়িংটা



আমি একটা ঘাসফড়িং হতে চেয়েছিলাম।
খাঁচায় বাঁধা জীবন থেকে
ডানায় ডানায় উড়বো স্বাধীন
ফুলের থেকে ফুলের দেশে
হারিয়ে যাব ঠিকানাবিহীন।
আমি একটা সবুজ ঘাসফড়িং হতে চেয়েছিলাম। 
শ্যাওলা সবুজ পাতার কোলে
শিশির বিন্দু যেমন জ্বলে
সেই জলেতে মুখটা আমার
একটুখানি দেখবো বলে।
আমি একটা চঞ্চল ঘাসফড়িং হতে চেয়েছিলাম।
তাইতো দুহাত ছড়িয়ে দিয়ে
রঙিন ডানা পিঠে নিয়ে
দূর আকাশে হারিয়ে গিয়ে
মেঘের সাথে  গা ভাসিয়ে   
আমি বন্ধনহীন একটা সুন্দর ঘাসফড়িং হতে চেয়েছিলাম শুধু।
অথচ সে গাছের জীবন চেয়েছিলো
বলেছিলো ,
গাছ হয়ে যাও
পায়ের সাথে পা মিলিয়ে
অনন্তকাল পেরিয়ে গিয়ে
সুবাস নিয়ে ,সুবাস দিয়ে
খুব থাকা যায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে
ভারী অদ্ভুত
আমি ঠিকানা বিহীন হতে চেয়েছিলাম
আর ঘাসফড়িং টা একটা ঠিকানা চেয়েছিলো।
আমি মুক্ত হতে চেয়েছিলাম
আর সেই ফড়িং টা বন্ধন চেয়েছিলো।

সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০১৫

স্বপ্নই তো

         
স্বপ্নই তো
দেখতে থাকি ,
বাঁধা তো নাই দেখতে।
আকাশই তো
উড়তে থাকি ,
ভয় কি ডানা মেলতে।
তুমিইতো
ভালবাসতে থাকি
হারিয়ে যেওনা কিছুতে। 
জীবনই তো
খুব কি কঠিন
বাঁচার মতন বাঁচতে ?

আকাশ






বুকের ভেতর আকাশটাকে ধরতে গেছি যেই
আকাশ বলে ধুলোর মাঝে নেইতো আমি নেই।
অপরাজিতার মাঠটি যেনো অবাক চেয়ে রয়
নীলকন্ঠের ডানায় চড়ে  কষ্ট ওড়ে ওই
নীলাঞ্জনা নামটি আমার নীল সাগরে থাকি
একলা হলেই আকাশখানা বুকের মধ্যে রাখি।

রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৫

রোদ্দুর










আমি তোর্ উষ্ণতা চাই
অঝোরে ঘাম হতে চাই
কালো মেঘ দূরের দেশে
যা চলে যা
রোদ্দুর  ,আয় ছুঁয়ে যা।

শনিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৫

সমুদ্দুর







নীল সমুদ্রই তো
কখনো কেমন সবুজ
আবার রাত্তিরের জোসনা যখন
লুটিয়ে পড়ে ভালবেসে
তখন যেনো রুপোলি জোনাক জ্বলে ওঠে জলের দেশে।
সূর্য যদি নামলো স্নানে
রং দিলো ছুঁয়ে এক নিমেষে
সোনার বরণ তোর্।
সমুদ্দুর
ওরে সমুদ্দুর ,
তোর্ কত রঙ!!!!!!
একবার তুই আমার হবি ?
রাতের ব্যথা শুষে নিবি ?
সবাই যখন ঘুমের দেশে
আমার সাথে পথ হারাবি ?
চলতে পথে বৃষ্টি এসে
দেয় যদি আরো অনেক সুখ ?
ভিজবো আমি তোর্ জলে আর
মেঘের জলে আরেকটুক।

শনিবার, ২১ মার্চ, ২০১৫

তোমার জন্য









খুব ক্লান্ত হলে
আমি তোমার মুখ দেখবো।
বিষন্ন হলে
হাত ধরবো তোমার।
তৃষ্ণার্ত যখন
তোমার ঠোঁটের সব জল শুষে নেবো নিমেষে।
অসহ্য আনন্দ হলে
আমি হারাবো তোমার মাঝে।
ক্লান্তি শেষে যখন তীব্র ঘুম নামবে চোখে
আমি তোমার বুকে মুখ লুকোবো।
চলো পালাই
পৃথিবীর সীমাবদ্ধতা ছাপিয়ে
অসীম ,অদ্ভুত কোনো ঠিকানায়।

আমার জীবন










আমার জীবন রেখেছি
ঘাসফড়িং এর কাছে ,
কচি সবুজ প্রথম পাতায়
প্রজাপতির রঙিন ডানায়
আর পাখির নরম বুকের মায়ায়।
জীবন রেখেছি
মুঠোমুঠো সাদা জোছনায়
শীতল শৈবালে
দীঘির বাঁধানো ঘাটে
আর হিজলের মাতাল সুবাসে।
জীবন রেখেছি আমি
যা কিছু আছে এই কমলালেবুর খোসায়
তার সুঘ্রাণে।

আর
মৃত্যুরে বলেছি ,
আকাশের কাছে থাকো
এসো নাকো কভু মর্ত্যের ধুলোয় মেলাতে।

স্বপ্নবন্দনা









উঠলাম মাত্র।

তুমি এসে ডাকলে আমায় ,
আশ্চর্য
স্বপ্ন ছিলো ?
চোখ মেলে দেখি তুমি নেই।
প্রিয়তমা,
তোমায় পাশে পাবার জন্যে
চোখ মেলা যদি বারণ হয়
তবে আমি আজীবন দুচোখ বন্ধ রাখতে চাই। 

বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ, ২০১৫

চন্দ্রা





রূপোর আলোয় মাখা নগ্নতা নিয়ে
মসৃন তুমি উড়ে বেড়াও সমস্ত রাত্তির
কখনো  কেন হয়নাকো মনে
নগ্ন তুমি ,উদাম, অস্থির ?

চন্দ্রাবতী










জলের মাঝারে তব মুখের ছায়া
আকাশ নেমেছে সাথে মেঘের মায়া।

ঝরাপাতা টুপটাপ ভেজে যখনই
কেঁপে ওঠে মুখখানা ঠিক তখনই ।

হঠাত গাছের ফাঁকে রুপোলী মেয়ে
চন্দ্রাবতী কারে ডাকি ?কার পানে চেয়ে ?

বুধবার, ১১ মার্চ, ২০১৫

জলের সাথে



 





                                                       ছুঁইয়া যাইবো আমি সেদিন তাহারে
                                                       আকাশ নামিবে যবে জলের মাঝারে।

মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০১৫

শিমুলতলা










পথটি আমার আসন তবে
পিছন ফিরে না চাই
পথের ধূলায় বসত গড়ি
পথেই খুঁজি ঠাঁই।


শিমুলতলায় রক্ত রঙীন
লালের স্রোতে ভেসে ,
হারাই হারাই হারাই কোথা
সেওতো পথের দেশে।

রবিবার, ৮ মার্চ, ২০১৫

প্রার্থনা


 ভোরের এই সময়টুকু তোমায় ডেকে তৃষ্ণা মেটেনা। কেবলই মনে হয় দীর্ঘায়িত হউক ভোর।আমি নিষ্পাপ থাকি আরো কিছু সময়। অস্পৃশ্য থেকে যাই জীবনের যত জটিলতা থেকে। ফজরের নামাজ তুমি এত ছোট্ট করে দিলে কেনো প্রভু?


প্রভূ ,তুমি আমায় কোনোদিন ক্লান্ত করোনা। আমি তোমায় আমৃত্যু মধ্যরাতের প্রার্থনায় রাখবো।







বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০১৫

খুঁজি





ঝিরি ঝিরি হাওয়া
নিত্য আসা যাওয়া
হঠাত কি অনুভব
তোরে খুঁজে পাওয়া।

হাওয়ায় ভেসেছি কত
উড়িয়েছি ঘুড়ি
কভূ মনে হয়নিতো
যাচ্ছি কোথা উড়ি।

কোথায় হারায় মন
হৃদয় আমার
বাঁধিবো কেমনে তারে
অজানা আঁধার।

হাওয়া তো হাওয়াই ছিলো
আঁধারো আঁধার
আজ কেনো খুঁজি সেথা
তোরে বারেবার ?

মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

কেও কি ডাকে ?






তোমার বুকের ভাঁজে
আগুন যেথা আছে
সেইখানে কি জলের মতন
তিলের ছোঁয়া আছে ?


শংখ সাদা পিঠে
সিড়ি'র মতন যে পথ
সেই পথে কি ছড়িয়ে দেবো
হারিয়ে বাঁচার শপথ ?

শকুন্তলা গ্রীবায়
লুকিয়ে নিয়ে মুখ
কেও কি কভু টের পেয়েছে
সেথায় সকল সুখ ?

অপরাজিতার দ্বারে
অবাক সমুদ্দুরে
মেয়ে ,কেওকি বল হারিয়ে গেছে
ভীষণ জোয়ারে ?


উফ ,ঠিক মানুষ গুলো ,
কেনো যে এলোমেলো ?
কেনো যে কাছে আসে ?
ভুল সময় ভালোবেসে ?


উঠবোনা আর আমি
অজানা ওই রথে
পথিক তুমি আর ডেকোনা
সর্বনাশা পথে।

রবিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

তবুও স্বপ্ন





খুব ছুঁতে ইচ্ছে করছে তোমায়
স্বপ্ন দিয়ে নয় ,
আঙ্গুল দিয়ে।

খুব পেতে ইচ্ছে করছে তোমায়
চোখ বন্ধ করে নয় ,
চোখ খুলে।

ভাবছি তোমায় জড়িয়ে ধরি
ভাবনা দিয়ে নয়
আমার দুহাত দিয়ে।

চল একটা ছোট ঘর বানাই ,
কেবল আশা দিয়ে নয়
ইট ,কাঠ আর পাথর দিয়েই।

মঙ্গলবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ইচ্ছে আমার





আমাকে পাঁচ টা মিনিট সময় দেবে ?
তোমায়  একটু দেখবার ?
ওই পাঁচ মিনিট শব্দেরা স্তব্ধ হয়ে যাবে ,
ঝড়ো হাওয়া হঠাত থেমে হবে
মাতাল পাগলা বাতাস ,
আধফোটা সমস্ত ফুল গুলো
সূর্যের পানে ফেরাবে মুখ
হাসবে সব পাপড়ি মেলে ,
ওই পাঁচ মিনিট পৃথিবীর কোথাও কোনো যুদ্ধ হবেনা।
দেবে আমায় শুধু পাঁচ টা মিনিট ?
তোমায় একটু স্পর্শ করবার ?
স্পষ্ট বলে দিচ্ছি........
এরপর আমি ঘড়ির কাঁটা কে
নিশ্চল করে দেবো।


একলা আমার





আমার ভাবতে ইচ্ছে করে তুমি একা ,
তন্বী নারী ,
একা একলা নারী ,
কেও নেই
তোমায় পিছু টানবার।
আমার বড্ড ভাবতে ইচ্ছে করে তুমি একা ,
অদ্ভুত অপরূপ রাজকন্যা ,
দাঁড়িয়ে বারান্দায় ,
যেনোবা আকাশ ছুঁয়ে বাদামী চোখ ,
যেনোবা ওই চোখে কেবল আমারই হারাবার কথা।
আমার ভাবতে ইচ্ছে করে তুমি একা ,
একলা নারী
একাকী মেঠো পথে
যেনো ঝমঝমিয়ে বাজছে নুপুর তোমার ,
ঝরাপাতা মাড়িয়ে হেঁটে যাওয়া
কোনো এক পলাতকা রাজকন্যা।
আমার সত্যিই ভাবতে ইচ্ছে করে তুমি একা
আর
একখানা রাজপুরী
আমি যেনো ভীষণ এক রাজপুত্র হয়ে
হঠাত খুঁজে তোমায় পেয়ে
একটুখানি হাত বাড়িয়ে
পায়ের সাথে জড়িয়ে নিয়ে
চুপটি করে ফিসফিসিয়ে শুধাই তোমায় :
এতদিন কোথায় ছিলে ?
রাজকন্যা ,
আমার বড্ড বেশি ভাবতে ইচ্ছে করে তুমি একা
একলা আমার।

সোমবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

অদ্ভুত অসুখ




তোমাকে না দেখে যতটা কষ্ট
তার চেয়ে ঢের বেশি যাতনা তোমায় দেখে ফেলবার।
যেই আমি রেখেছি  চোখ তোমার চোখে
অন্ধ হবার আগের ক্ষণে মানুষ কি তবে এমনই থাকে ?
চোখের তৃষ্ণা মিটিয়ে নিতে যা কিছু করার
করে নেয় আগে ?
ভাবেকি ?
জীবনের বুঝি এখানেই শেষ
সমাপ্তি রেখা এখানেই ?
আমি জানিনা ,
বুঝিনা কিছুই অতশত ,
আমার শুধু মনে হয় ,
ফুরোচ্ছে সময় ,
দেখতে দাও আমায় অবিরত।

তোমাকে ছুঁয়ে ফেলার এক বিশেষ যাতনা আবার ,
জানোকি তুমি ?
হে একমাত্র নারী আমার ?
তোমায় স্পর্শের ঠিক পর মুহূর্ত থেকে
গোটা পৃথিবী হয়ে পড়ে জড় পদার্থের মতন।
কোথাও প্রাণ নেই ,
প্রাণী নেই ,
মৃতপুরী এক ,
এমনকি মহাশুন্যে ভেসে থাকা জোছনা কেও মৃত মনে হয়।
অথচ
চিকিত্সক বলে দিয়েছেন
আমার অন্ধত্ব নিবারণ তোমার চোখে ,
আমার প্রাণ ভোমরা তোমার স্পর্শে।  
বড় অদ্ভুত  অসুখ
একমাত্র নারী আমার ,
বলতো
দৃষ্টির বাইরে তোমায় কি করে রাখি ?
তোমার স্পর্শ ছাড়া আমি কি করে বাঁচি ?