সারি সারি পাহাড়ের আলিঙ্গনে লুকোনো মাটির পথ
শিমুলের চোখ ধাঁধানো লাল পাপড়ি
অথবা
কখনো কখনো হলদে সোনালু ফুল গুলো মিতালি করেছে রোদ্দুরের সাথে।
আর রোদ্দুর ছুঁয়ে গেছে ছোট্ট নীল বুনোফুল
প্রজাপতির দল বড় উচ্ছল ,
আনন্দে মত্ত।
নাম না জানা অজানা পাতাদের সবুজের ভীড়ে
ঝলমলে সূর্যের মিষ্টি লুকোচুরি।
ওই অদ্ভুত রঙিন পথে আজ আমার পথ চলা
প্রেয়সী আমার রয়েছে দাঁড়িয়ে
হয়নিকো তারে প্রেমের কথাটি বলা।
একসারি সবুজ বুনো টিয়ে
দিচ্ছে উড়াল দূর বহুদুর
বিশাল বৃক্ষের গা ছুঁয়ে সোনালী স্বর্ণলতা
যেনোবা পণ করেছে ছুঁয়ে দেবে রোদ্দুর
আধো আলো আধো ছায়ায় নামছে বিকেল
মেঘেদের শুরু হলো বুঝি রঙ চুরি খেলা
একটু পরেই নামবে এসে মিষ্টি গোধুলি বেলা।
এই কি তবে সময় প্রেয়সীর চোখে চাওয়া?
মনের যত না কথা চোখ চোখে বলে যাওয়া ?
সোনার থালার মতন সোনালী সূর্য নীরবে লুকোচ্ছে পশ্চিমে
খুব হঠাত,একেবারেই হঠাত যেন মিলিয়ে গেল পাহাড়ের মাঝখানে।
বড্ড দ্রুত নামলো আঁধার।
নয়তো কালো ,নয়তো ধূসর রঙ তার
রুপোলি চাদর গায়ে গুচ্ছ গুচ্ছ রুপোলি জোছনায়
রাত্তিরের হাত ধরে পূবের আকাশে একফালি চাঁদ
স্পষ্ট ,বড় বেশি উজ্বল আজ।
বলছে আমায় কোথায় বল প্রেয়সী তোমার লুকিয়ে ?
জোছনার রঙে সাজাবো তারে তারার ফুলটি দিয়ে।
এই কি তবে সময় ?
ওই হাতে হাত রাখবার ?
নিশ্বাসে নিশ্বাসে
বিশ্বাস ভরে নেবার ?
এমনি করেই রাতের আলোয় স্পর্শ করব তারে
কালো মেঘখানা বললো হেসে
ভুললে কি তবে আমারে ?
পাহাড়ের সাথে সন্ধি করেছি
আজকে জোসনা রাতে
নামবে বৃষ্টি প্রেয়সী তোমার
ভিজবে সেই ধারাতে ,
বৃষ্টির সাথে জোছনার হবে আলিঙ্গনের খেলা
প্রেয়সী তোমার বুকের ভিতর আঁকবে কথা না বলা।